জরুরী অবস্থায় সেনার মতোই ঝাপালেন ব্রিগেডিয়ার (প্রাক্তন) বি ডি মিশ্র। অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল তিনি। কিন্তু, তার আগে একজন মানুষ। তাই তো গর্ভবতীর যন্ত্রণায় চিৎকার কানে পৌঁছয় তাঁর। পরিস্থিতি বেসামাল বুঝে নিজের চপারেই উঠিয়ে নিলেন গর্ভবতী ও তাঁর স্বামীকে। তাওয়াং থেকে ইটানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরের। রাজ্যপালের এই উদ্যোগ হতবাক করেছে তাঁর সঙ্গে থাকা উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের।
বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল তাওয়াং থেকে সভা সেরে চপারে ওঠার মুহূর্তেই মহিলার চিৎকার শুনতে পান। গর্ভবতীকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখেন তিনি।জানা যায়, মহিলার অবস্থাও ভাল না।তাই ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। তাওয়াং থেকে ইটানগর যাওয়ার দীর্ঘ পথ তাঁদের চপারে পার করালেন রাজ্যপাল। এখানেই শেষ নয়, তাওয়াং থেকে চপার জ্বালানী নিতে তেজপুরে নামে। তখনই কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। রাজ্যপালের নির্দেশে আরও একটি চপারের ব্যবস্থা করা হয়। সেই চপারেই ইটানগর হিমা হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা।
ইটানগরে নেমে যাতে মহিলার অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থাও করেন রাজ্যপাল। অ্যাম্বুলেন্স থেকে ডাক্তার সবটাই তাঁর নজরদারিতে চলে।ইটানগর রাজভবনের হেলিপ্যাডে চপার নামতেই তড়িৎ গতিতেই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাওয়াং থেকে ইটানগরের দূরত্ব সড়ক পথে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টার। সেখানে মাত্র ২ ঘণ্টায় মহিলাকে ইটানগরে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তাওয়াঙে ভাল হাসপাতালের অভাব থাকায় মহিলাকে ইটানগরেই আনতে হত। তাই তাঁকে নিজের চপারেই তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন বি ডি মিশ্র। তেজপুর পর্যন্ত মহিলার সঙ্গেই ছিলেন তিনি। পরে, অন্য চপারে ইটানগরে ফেরেন। রাজভবন থেকেই খবর নেন মহিলার। বৃহস্পতিবারই সদ্যোজাত জন্মানোর খবর আসে।পরে হাসপাতালে গিয়ে সেই মহিলাকে দেখেও আসেন রাজ্যপাল ।
রাজ্যপাল বিডি মিশ্রের এই মানবিক পদক্ষেপ সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, “ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, করে দেখালেন রাজ্যপাল”।
Be the first to comment