অনিল আম্বানির রাফাল বিতর্কের পর এবার মুকেশ আম্বানির জিও বিতর্ক। জিওকে সুবিধা করে দিতেই বিএসএনএলকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এভাবে চললে একদিন বন্ধই হয়ে যাবে বিএসএনএন। সরাসরি অভিযোগ তুললেন খোদ বিএসএনএলেরই কর্মী ইউনিয়ন। তাই সরকারি নীতি, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও বকেয়া পাওনার দাবিতে ৩ ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ‘অল ইউনিয়নস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ বিএসএনএল’ ‘এইউএবি’।
সংগঠনের সচিব দিলীপ সাহা জানান, নিজের পরিষেবার দিকেই খেয়াল নেই সরকারের। অথচ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নামে শুধু বেসরকারি কোম্পানিগুলিরই সুবিধে করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫ জি পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। অথচ জিওর সুবিধার জন্য বিএসএনএলের ফোর জি পরিষেবারই অনুমতি দেওয়া হয়নি। গোটা টেলিকম সেক্টরকেই ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র। বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা পেয়ে সস্তায় পরিষেবা দিতে পারছে জিও। অথচ বিএসএনলের হাতে সেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আটকে দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এয়ারটেলকে সরিয়ে রেলের টেলিকম পরিষেবা তুলে দেওয়া হয়েছে জিওর হাতে। এদিকে বিএসএনএলকে লোকসানে চলা সংস্থা হিসেবে প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে। প্রতিষ্ঠানটিকেই তুলে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এয়ারসেল, টাটা, টেলিনরের মতো বিভিন্ন সংস্থা পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্যে হয়েছে। জোট বাধতে বাধ্য হয়েছে ভোডাফোন ও আইডিয়ার মতো সংস্থা। একচেটিয়া জিওকেই রাজত্ব কায়েম করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রতিযোগী থাকবে না বাজারে। ভবিষ্যতে চড়া দামে রিলায়েন্স জিওর কাছে থেকে পরিষেবা কিনতে বাধ্য হবে মানুষ।
Be the first to comment