কৃষক সমাবেশ হয়ে উঠল বিরোধীদের ‘জোট’ মঞ্চ। কৃষকদের দাবিকে সামনে রেখে একসঙ্গে মোদী বিরোধী স্লোগান তুললেন রাহুল-কেজরি-সীতারাম ইয়েচুরি। মঞ্চে ছিলেন ফারুক আবদুল্লাহ, শরদ যাদব সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী মুখ। বিষয় চাষিদের দাবি। চাষিদের সমর্থন করেই তাই কংগ্রেস বিরোধী কেজরিওয়াল হাত ধরলেন রাহুলের।স্লোগান উঠল চাষিদের দাবি পূরণের। সব মিলিয়ে শুক্রবার দিল্লির কৃষক সমাবেশে যোগ দিলেন ২১ অবিজেপি রাজনৈতিক দল।
সংসদ মার্গের মঞ্চে রাহুলকে জড়িয়ে ধরলেন কেজরি। হাত মেলালেন ইয়েচুরি, ফারুক আবদুল্লাহ। প্রত্যেকেই কৃষকদের হয়ে জোরদার সওয়াল করলেন। হাল্কা শীত তখন, সন্ধে নামার কিছু আগে দিল্লির রাজপথ পুরোপুরি লাল পতাকায় মুড়ে গিয়েছে। কয়েক হাজার কৃষকের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সংসদ মার্গের মঞ্চে তখন ভাষণ দিচ্ছেন রাহুলরা। মোদীকে রাহুলের প্রশ্ন, “১৫ জন শিল্পপতির সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মকুব করা হল, তাহলে কৃষকদের ঋণ মকুব করা হচ্ছে না কেন?” করতালির সঙ্গে তখন ফের উঠল চাষিদের স্লোগান, কবিতা, গান। পাশেই ছিলেন কেজরিওয়াল। তিনিও বলে উঠলেন, “কৃষকদের বিমা যোজনা নিয়ে ছেলেখেলা করেছে বিজেপি। কয়েক হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। অথচ ফসল নষ্ট হলে কোন যোজনার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। চাষিদের এইভাবে কেন ঠকাচ্ছে মোদী সরকার ?” সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও গলায় জোর আনলেন। মোদী সরকারকে সরাসরি “পকেট – মার” বললেন তিনি।
২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে রাহুল- কেজরির এক মঞ্চে থাকা অবশ্যই জোট জল্পনাকে উস্কে দিচ্ছে। কৃষক সমাবেশকে স্রেফ হাতিয়ার করেই কি নিজেদের ‘জোট’ স্পষ্ট করতে তৎপর তাঁরা। রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে সেই প্রশ্নও। এদিন ৩৫ হাজারের কৃষক মিছিলে বিরোধীদের মুখ ছিলেন রাহুল গান্ধি।
অবশ্য, কৃষকদের দাবি নিয়ে মুখ না খুললেও রাহুল-কেজরির একই মঞ্চে থাকাকে ‘নাটক’ বলেই কটাক্ষ করছে বিজেপি। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের কটাক্ষ, “রাহুলের কেজরিকে জড়িয়ে ধরা আবার যেন নতুন নাটকের শুরু। এই সমীকরণ শুধুই বিভ্রান্তির।”
দিল্লির রাজপথে বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার কৃষকের জমায়েত চলছে সেই বুধবার থেকে। ঝণ মকুব সহ একাধিক দাবি তুলে তাদের লাল পতাকার মিছিল চলে শুক্রবার দিনভর। গতকাল সন্ধ্যায় কোনওরকম আশ্বাস বা সমাধান সূত্র ছাড়াই সেই মিছিল শেষ হয়।
Be the first to comment