পরপর দুটি ঘটনায় ইভিএম নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উত্তাল মধ্যপ্রদেশ। দুটি ঘটনাই ঘটেছে শনিবার। প্রথমটি হল, ভোট মিটে যাওয়ারও দীর্ঘ সময় পরে নম্বরপ্লেটহীন গাড়িতে ইভিএম নিয়ে আসা। আর দ্বিতীয়টি হল, ভোপালের স্ট্রংরুমে প্রায় একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা। সূত্রের খবর, ভোটের প্রায় ৪৮ ঘন্টা পরে নম্বরপ্লেট বিহীন গাড়িতে করে অব্যবহৃত ইভিএম নিয়ে আস হয় সাগরের জেলা কালেক্টরের অফিসে। অথচ নিয়ম হচ্ছে, ভোট মিটে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলো জমা পড়ার কথা। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পর কেন জমা দেওয়া হল? তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ইভিএমগুলি কাজে লাগানো হয়নি। বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে, প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময়ধরে বিদ্যুৎ সযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল ভোপালের স্ট্রং রুমে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সিসি টিভি ক্যামেরা ও বাইরে লাগানো এলইডি টিভি। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। মধ্যপ্রদেশের ভোটপর্ব মিটতেই সমস্ত ইভিএম মেসিনকে নিয়ে আসায় ভোপাল সংশোধনাগারের স্ট্রং রুমে। শুরু থেকেই প্রশাসনের ভরসায় না থেকে জেলের বাইরে পাহারা দিতে থাকেন কংগ্রসে ও আপকর্মীরা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে থেকে ভোপালের কালেক্টর অফিসের রিপোর্ট তুলে ধরা হয়।
সেখানে বলা হয়, কারেন্ট না থাকায় শনিবার সকাল ৮টা ১৯ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পপরর্যন্ত ইভিএম রাখা স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ক্যামেরা ও এলইডি ডিসপ্লে কাজ করেনি। ওই সময়ের রেকর্ডিং করাও সম্ভব হয়নি। তারপর অতিরিক্ত এলইডি, ইনভার্টার ও জেনারেটর এনে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। দুটি ঘটনাকে ঘিরেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা।
Be the first to comment