শবরীমালা নিয়ে শেষ নেই বিতর্কের। শেষ নেই তাকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের নানা রকম খবরেরও। কিন্তু এ বার শবরীমালা শিরোনামে উঠে এল কোনও আইনি বিতর্কের কারণে নয়। একটি অভূতপূর্ব মানবপ্রাচীরের জন্য!
মন্দিরের প্রাচীন নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ঋতুমতী মহিলা এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই নিয়ম যাতে কোনও ভাবেই না ভাঙে, সেই কারণে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি কোনও মহিলাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না এই মন্দিরে। কিন্তু মাস দুই আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এভাবে কোনও ভক্তকে আটকানো যায় না। সব বয়সের মহিলারাই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন।
কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সেটা মানেন না মন্দির কর্তৃপক্ষ। কিছু দিন আগেও ৩০ জন মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
এবার তাই অন্য পথ নিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলাদের নিয়ে একটি মানবপ্রাচীর তৈরি হবে ১ জানুয়ারি। এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে তৈরি হবে এই মানবপ্রাচীর। উত্তরের কাসারগড় জেলা থেকে রাজ্যের রাজধানী পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রাচীর মহিলাদের অধিকারের প্রতীক হবে।
এ দিকে শবরীমালা ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে রবিবার বিজেপির চার সদস্যের একটি দল কেরলে পৌঁছেছে। মনে করা হচ্ছে, কেরল সরকারের মানবপ্রাচীরের কথা ঘোষণার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই কেরল গিয়েছে দলটি। দল তৈরির পুরোভাগে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ১৫ দিনের মধ্যেএই নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে এই প্রতিনিধি দলের।
Be the first to comment