কোনও তাৎক্ষণিক উত্তেজনা নয়, বুলন্দশহরের গোরক্ষার নামে হিংসার পিছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। সোমবার ওই হামলায় ১ পুলিশ অফিসার সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক চারজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আক্রমণকারীদের অধিকাংশই হিন্দু যুবসেনা, শিবসেনা ও বজরং দলের। গোহত্যার খবর ছড়ানোর পরই তারা জড়ো হয়ে মৃত পশুর দেহাংশ ট্রাক্টরে চাপিয়ে হাইওয়ের দিকে রওনা হয়। বিক্ষোভের জায়গা আর সময় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রমাণ দিচ্ছে। কারণ সেইসময়ই বুলন্দশহরে ইজতেমার শেষদিনে ১০ লাখ মুসলিম জড়ো হয়েছিলেন। ওই রাস্তা দিয়েই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। বজরং দলের জেলাপ্রধান যোগেশ রাজ জানিয়েছেন, তাঁরাই পুলিশকে ঘটনার কথা জানান। কোনও হিংসায় তাঁদের হাত নেই। জেলাশাসক অনুজ ঝা বলেছেন, ট্রাক্টরে চাপিয়ে কিছু পশুর দেহাংশ নিয়ে লোকজন হাইওয়ে এবং চিংড়াভাটি থানার সামনে আসে। সেখানেই উত্তেজিত জনতা ঢিল ছুঁড়ে শুরু করে, আগুন লাগায় থানায়, গাড়িতে।
এই গোলমালের সময়ই সিয়ানার পুলিশ অফিসার সুবোধকুমার সিং গুলিতে মারা যান। গুলি লাগার পরও বিক্ষোভকারীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি। ময়নাতদন্ত জানাচ্ছে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে মাথায় গুলি লেগে।
Be the first to comment