স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে সবসময়ই উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় চারটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। প্রতিদিন গোসাবা, ক্যানিং, কুলতলি, জয়নগর থেকে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। আধুনিক পরিষেবা ও পরিকাঠামোয় রোগীদের ভরসা ঠিকানা হয়েছে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাল ফিরেছে স্বাস্থ্য পরিষেবার। বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালগুলিকে ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাতেই তৈরি হয়েছে চারটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। যার মধ্যে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অন্যতম । বারুইপুরের পনেরো নম্বর ওয়ার্ডে মহকুমা হাসপাতালের কাছে ঝাঁ-চকচকে হাসপাতালে ভিড় জমছে অসংখ্য রোগীর। ক্যানিং, গোসাবা, কুলতলি, জয়নগরের সঙ্গেই সোনারপুর ও বারুইপুরের বাসিন্দারা আসছেন এই হাসপাতালে। আউটডোরে চিকিৎসক, উন্নত ও আধুনিক মানের পরিষেবা ও পরিকাঠামো নিয়ে সেজেছে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালকেও উন্নত করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।
মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মোট ৩৬৮টি বেড আছে – সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সিসিইউ, সিটি স্ক্যান, এসএনসিইউ – দন্ত, অর্থোপেডিক, ফিজিওথেরাপি – নতুন অপারেশন থিয়েটার তৈরি হয়েছে – ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, প্রসূতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে – মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে সবসময়ের নার্স থাকছেন – প্রায় ১৪৬ নার্স সবসময় থাকছেন।
হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও আরও চিকিৎসকর প্রয়োজন। সেই সমস্যাও দ্রুত সমাধান হবে। আশ্বাস প্রশাসনের।
রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবায় অভাব অভিযোগ মিটেছে। বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম নয়, সরকারি হাসপাতালকেই চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেন মানুষ। বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও তার মধ্যেই অন্যতম।
Be the first to comment