রাফায়েলের বিরুদ্ধে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কয়েকমাস ধরে রাফায়েল কেলেঙ্কারি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু শিল্পপতি অনিল আম্বানিকে অন্যায়ভাবে বহু কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানে ভোট প্রচারের শেষবেলায় মোদী তার পালটা তুলে ধরলেন ৩৬০০ কোটি টাকার অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারি। তিনি বললেন, ওই কেলেঙ্কারিতে যে দালাল যুক্ত ছিল, সে মুখ খুলবে শীঘ্রই।
২০০৭ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে ভিভিআইপিদের জন্য ইতালি থেকে ১২ টি হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ইতালিতে তৈরি ওই হেলিকপ্টার কেনার জন্য যে চুক্তি হয়েছে, তা বেআইনি। শেষপর্যন্ত ২০১৪ সালে চুক্তি বাতিল করা হয়। সেই চুক্তিতে যিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন, সেই ক্রিশ্চিয়ান জেমস মাইকেলকে আনা হয়েছে ভারতে। তাঁকে জেরা করবে সিবিআই। মোদী পরোক্ষে দাবি করেছেন, মাইকেল যদি মুখ খলেন, তাহলে কংগ্রেসের অনেক নেতা বিপাকে পড়বেন। তাঁদের দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাবে।
এদিন রাজস্থানের সুমেরপুরে নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, ইউপিএ আমলে ভিভিআইপিদের জন্য হেলিকপ্টার কেনা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করি। আপনারা নিশ্চয় কাগজে পড়েছেন, সরকার এক অভিযুক্তকে দুবাই থেকে ভারতে এনেছে। সে অনেক গোপন কথা জানে। একবার সে মুখ খুললেই অনেক গোপন কথা বেরিয়ে আসবে।
অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার নানা দেশের ভিভিআইপিরা ব্যবহার করেন। তাতে আছে সর্বাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই হেলিকপ্টার সেনাবাহিনীও ব্যবহার করতে পারে। তা কেনার সময় মাইকেল কিকব্যাক পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
৫৪ বছর বয়সী মাইকেল এর আগে দুবাইয়ের পুলিশকে বলেছেন, আমি মনমোহন সিং সরকারের আমলে ভারতে কাজ করতাম। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে হেলিকপ্টার সরবরাহের যে চুক্তি হয়েছিল তাতে আমি যুক্ত ছিলাম। দুবাই পুলিশ তাঁকে প্রশ্ন করে, ওই চুক্তির সময় নাকি আপনাকে ৭ কোটি ইউরো ঘুষ দেওয়া হয়েছিল? তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পালটা অভিযোগ, আমি যাতে আগের সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিই, সেজন্য আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। ওই চুক্তিতে কাউকে কিকব্যাক দেওয়া হয়নি। কোনও জোচ্চুরি হয়নি। তাছাড়া আমি চুক্তির সময় কোম্পানির ভারতের শাখায় কাজ করতাম না। আমি কাজ করতাম ব্রিটেন শাখায়।
Be the first to comment