গোটা একটা লেক থেকে জল পাম্প করে ফেলে দিয়ে খালি করা হচ্ছে কর্নাটকে। কারণ, ওই লেকের জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এইচআইভি পজ়িটিভ এক তরুণী। গত ২৯ নভেম্বর ধারওয়াড় লেকের জলে ভেসে ওঠে তাঁর পচাগলা দেহ। ফুলে ওঠা দেহ মাছে খেয়ে ফেলেছে। ওই দৃশ্য দেখার পরে হুবলির মোরাব গ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনকে সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা ওই লেকের জল ছোঁবেন না। পান করার তো প্রশ্নই নেই। ওই জল পান করলে তাঁদেরও এডস হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
প্রশাসন থেকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে যে, এডসের জীবাণু দেহের বাইরে আট ঘণ্টার বেশি বেঁচে থাকে না। জলে তো নয়ই। আর এই ভাবে এডস সংক্রমণ ছড়ায় না। কিন্তু মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকার থেকে জল ছেঁচে ফেলে না দিলে, তাঁরাই ট্যাঙ্কার এনে লেকের জল তুলে ফেলবেন। ফলে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে মোরাবে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিন রাত এক করে ২৩ একর লেকের জল ছেঁচে ফেলার কাজ চলছে। জল তুলে লেক শুকনো করার পরে সাফাইয়ের কাজ চলবে। তার পর হবে মালাপ্রভা ক্যানাল থেকে জল এনে ফের ভরা হবে মোরাব লেক। পুরো লেক জলে ভর্তি করতে ২০ ডিসেম্বর পেরিয়ে যাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
কর্নাটকের কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে জলে কোনও এইচআইভি ভাইরাস আট ঘণ্টার বেশি বেঁচে থাকে না। তাই এই ভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
Be the first to comment