বুধবার লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া টুইট করেছিলেন, তিনি ব্যাঙ্কের সব দেনা শোধ করে দেবেন। বৃহস্পতিবার ফের টুইট করলেন পলাতক শিল্পপতি। তিনি লিখেছেন, আমাকে চোর বলা বন্ধ করুন। আমি ঋণদাতাদের টাকা চুরি করিনি। যে সব ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়েছি, তারা হিসাব করুক আমার কাছে মোট কত টাকা তাদের পাওনা।
গত মঙ্গলবার রাতে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত ক্রিশ্চিয়ান মাইকেলকে দুবাই থেকে বন্দি করে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এর পরে অনেকে প্রশ্ন তোলেন, বিজয় মালিয়াকেও এইভাবে বন্দি করে লন্ডন থেকে আনা হচ্ছে না কেন?
মাইকেলের সঙ্গে তাঁর তুলনা করায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন বিজয় মালিয়া। যদিও টুইটে কোথাও তাঁর নাম লেখেননি। ৬২ বছরের বিজয় লিখেছেন, যাঁরা আমার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, তাঁদের পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলছি, দুবাই থেকে যে ব্যক্তিকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে আমার নাম জড়াবেন না। আমি পৃথিবীর যেখানেই থাকি, তাতে কিছু যায় আসে না। ঋণদাতাদের কাছে আমার আবেদন, দয়া করে আপনাদের টাকা ফেরত নিন।
বুধবারের টুইটেও বিজয় মালিয়া বলেছিলেন, আমি ঋণখেলাপি নই। ভারতের ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণের ১০০ শতাংশ শোধ করতে রাজি। ২০১৬ সালেও আমি ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলাম। আশ্চর্যের ব্যাপার, তখন আমার কথায় কেউ কান দেয়নি।
মালিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ না করে পালিয়ে গিয়েছেন বিদেশে। তাঁকে বন্দি করে ভারতে আনার জন্য লন্ডনের কোর্টে আবেদন করেছে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী সোমবার ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে সেই আবেদনের ওপরে রায় দেওয়া হবে ।
বিজয় মালিয়া টুইটারে লিখেছেন, আমি দেখতে পাচ্ছি, আমাকে বন্দি করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মিডিয়ায় নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। আমি বিনীতভাবে ভারত সরকার ও ব্যাঙ্কগুলির কাছে আবেদন জানাতে চাই, টাকা ফেরত নিন।
এর আগে ২৬ জুন বিজয় মালিয়া সাংবাদ মাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, আমি বার বার বলেছি, টাকা ফেরত নিন। কিন্তু আমার কথা শোনা হয়নি। অথবা আমাকে ভুল বোঝা হয়েছে। আমাকে ক্রমাগত তাড়া করা হচ্ছে। আমি ক্লান্ত।
কেন যথাসময়ে ঋণ শোধ করেননি তার জবাব দিয়ে মালিয়া বলেন, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ব্যবসা মার খেয়েছিল। তখন বিমানে ব্যবহার্য তেলের দাম বেড়েছিল ব্যাপক। সব বিমান সংস্থাই বিপদে পড়েছিল। আমি তখন ঋণ শোধ করতে পারিনি। তা থেকে কেউ যেন না ভাবেন, আমি ব্যাঙ্কের টাকা চুরি করতে চেয়েছিলাম।
Be the first to comment