রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার দিনভর উদ্বেগেই কাটল বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের

Spread the love

শীতকাল। তাই বেলা গড়ালেই নামবে অন্ধকার। এ দিকে আদালতের ফয়সালা এসে পৌঁছোয়নি তখনও। অথচ ঝিনাইডাঙার ধানজমিতে প্রায় ৫০- ৬০ হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থকের ভিড়। কী বলা হবে তাঁদের ? তাই রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার দিনভর উদ্বেগেই কাটল বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তারই মধ্যে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সভায় আসা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মুখের দিকে তাকিয়ে সভাটুকু অন্তত করলেন নেতারা।

সকাল সকালই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সভার অনুমতি চেয়ে দরবার করতে। অন্যদিকে কোচবিহার, যেখান থেকে রথযাত্রার সূচনা হওয়ার কথা সেখানে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় প্রমুখ। ঘড়ির কাঁটা বারোটার ঘর ছোঁয়ার আগেই কোচবিহার শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইডাঙায় চিনু কুণ্ডুর ১৭ বিঘা জমিতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঢল। রথযাত্রা শুরুর আগে এখানেই যে সভা করার কথা বিজেপি নেতৃত্বের। কারণ অন্য কোথাও সভা করার অনুমতি না মেলায় নিজের ধানজমিই সভা করার জন্য ছেড়ে দেন গতবারের পঞ্চায়েত সদস্য চিনুদেবী।

এ দিকে দুপুর গড়ানোর পরেও আদালতের অনুমতি না আসায় কোচবিহার শহরের একটি হোটেলে রূদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন বিজেপির নেতারা। হাইকোর্ট থেকে এ দিনই সভা করার অনুমতি মিলবে কি না তাই নিয়ে চলতে থাকে কাঁটাছেড়া। ঘনঘন মোবাইল ফোনে আদালতের খোঁজখবরও নেওয়াও চলছিল পালা করে। অন্যদিকে দিল্লি থেকে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, শনিবার কলকাতায় আসবেন তিনি। আদালতের অনুমতি মিললে কোচবিহার থেকে রথযাত্রারও সূচনা করবেন। এই সাংবাদিক বৈঠকের পরে কোচবিহারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

আদালতের অনুমতি না মেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সভা করা না গেলেও কয়েক হাজার কর্মী সমর্থককে খালি মুখে বাড়ি না ফিরিয়ে ঝিনাইডাঙার মঞ্চে দাঁড়িয়ে দু চার কথা বলতে শোনা যায় দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়কে। তবে তা ছিল নেহাত স্তোকবাক্যই। তখনও তাঁরা জানেন না, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে আগামী সপ্তাহের শেষে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*