সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। যা অপ্রয়োজনীয়। রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, সরকারের উচিত আসল সমস্যার দিকে নজর দেওয়া।’ বক্তব্য, ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সঙ্গে যুক্ত থাকা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুদার। তিনি বলেন, উরির জঙ্গি হামলার বদলা নিতে এই স্ট্রাইক চালানো হয়। সন্ত্রাসীদের দমনে এধরনের পদক্ষেপ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সাময়িকভাবে এই আনন্দ প্রকাশ করা ঠিকই আছে। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে এটাকে অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। কতটা ঠিক বা ভুল তা অবশ্য রাজনীতিকরাই ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু ক্রমাগত হাইপ তৈরির প্রচেষ্টা ঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সবচেয়ে ভালো দিক হল, সমস্ত অপারেশনটাই আমরা গোপনে শেষ করতে পেরেছিলাম। এটা শুধুমাত্র ট্যাকটিক্স ছিল না, এটাই ছিল পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এরফলে শত্রুদের মনোবলকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে বারবার প্রকাশ্যে রাজনীতিরর ময়দানে নিয়ে আসা ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিঘাতের সময় আর্মির নর্দ্যান কমাণ্ডারে ছিলেন তিনি। সরাসরি যুক্ত ছিলেন ‘ক্রস বর্ডার’ আক্রমণের সঙ্গে। সম্প্রতি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের গুরত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের গভর্ণর ভি পি সিংও। যদিও ডি এস হুদার বক্তব্য নিয়ে সরাসরি বিরোধিতা করেননি সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, এটা একজনের ব্যক্তিগত মতামত। তাই এই নিয়ে মন্তব্য করা যায় না। তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সঙ্গে জড়িত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন। তাই তাঁর বক্তব্যকে আমরা শ্রদ্ধা করি
Be the first to comment