রবার্ট ভদ্রের কয়েকজন ঘনিষ্ঠের বাড়িতে শনিবারও তল্লাশি চালালো ইডি

Spread the love
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ভগ্নীপতি রবার্ট ভডরার  কয়েকজন ঘনিষ্ঠের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট তল্লাশি চালাল শনিবারও। এই নিয়ে টানা দু’দিন তল্লাশি হল তাঁদের বাড়িতে। এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে চারজনকে।
দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতে রবার্ট ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। তার মধ্যে একটি বিকানিরের জমি কেলেংকারি নিয়ে। অপরটি অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারিকে নিয়ে। ভাণ্ডারি এখন আত্মগোপন করেছেন।
রবার্ট ভদ্রের ঘনিষ্ঠ স্কাইলাইট হসপিটালিটি নামে এক সংস্থা বিকানির জমি কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত। তার কয়েকজন অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। রবার্টকেও বেশ কয়েকবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
অস্ত্রব্যবসায়ী ভাণ্ডারির বিরুদ্ধে ইডি এফআইআর করে ২০১৬ সালে। ওই বছরের এপ্রিলে তাঁর অফিসে তল্লাশি করে আয়কর দফতর। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি নথি পাওয়া যায়। তখনই আয়করের তদন্তকারীরা এমন কয়েকটি ই-মেলের সন্ধান পান যাতে দেখা যায়, রবার্টের সঙ্গে ভাণ্ডারির কথোপকথন হয়েছে। লন্ডনে নাকি রবার্টের এক দামি ফ্ল্যাট আছে। সেই ফ্ল্যাটের সারাইয়ের ব্যাপারে দু’জন কথা বলেছেন।
রবার্টের আইনজীবী বলেছেন, লন্ডনে তাঁর কোনও ফ্ল্যাট নেই। কোনও অস্ত্র কারবারির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কও নেই।
ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, রবার্টের ঘনিষ্ঠ এক সংস্থার দুই কর্মীর বাড়িতে শুক্রবার তল্লাশি করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা অস্ত্র ব্যবসায় কমিশন পেয়েছিল। সেই অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ করে তারা বেআইনি সম্পত্তি কিনেছে। তবে দুই কর্মীর নাম জানানো হয়নি।
রবার্টের আইনজীবী সুমন খৈতান বলেছেন, সকাল আটটা-ন’টায় আমার মক্কেলের বাড়িতে ঢুকেছে ইডি। তাদের কাছে উপযুক্ত সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল না। বাড়িতে ঢুকে তারা ভিতর থেকে তালা দিয়েছে। সরকারের কী উদ্দেশ্য বোঝা যাচ্ছে না। খুব সম্ভবত তারা মিথ্যা প্রমাণপত্র সাজাচ্ছে।
ইডির তদন্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, মোদী সরকার ভয় পেয়েছে। তাই রবার্টের বাড়িতে তল্লাশি করিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে। রবার্ট নিজে দাবি করেছেন, আমার সম্মান নষ্ট করার জন্যই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আমার আইনজীবীকে বার বার ডেকে পাঠানো হচ্ছে জয়পুরে। সরকার ভালোই জানে, আমার বিরুদ্ধে তাদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। একশ্রেণির মিডিয়াকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রচার করানো হচ্ছে।
অন্যদিকে ইডি জানিয়েছে, কোনও বেআইনি কাজ করা হয়নি। টাকা তছরুপের মামলায় দিল্লি ও তার আশপাশে এবং বেঙ্গালুরুতে কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*