কেউ ভাবতেও পারেননি তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন ৷ তিন সপ্তাহ পর কোমা থেকে জেগে উঠে সেই মহিলাই অভিযোগ তুললেন স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ জানালেন, তাঁকে আর তাঁর দুই সন্তানকে গলার নলি কেটে খুন করতে চেয়েছিলেন স্বামীই ৷ দিল্লির হাউজ় রানি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৭ নভেম্বর ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন গলায় নলি কাটা অবস্থায় দুই সন্তান-সহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ ৷ মহসিনা নামের বছর পঁচিশের ওই মহিলা এবং তাঁর ১৮ মাসের শিশুপুত্র বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয়েছে বছর তিনেকের শিশুকন্যার ৷ গত তিন সপ্তাহ কোমায় ছিলেন মহসিনা ৷ অবশেষে একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছেন তিনি ৷ কোমা থেকে উঠে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১৬ নভেম্বর রাতে তিনি ও তাঁর দুই সন্তান ঘুমোচ্ছিলেন। এমন সময়ে রাত বারোটা নাগাদ তাঁর স্বামী শামিম বাড়ি ফেরে। ফিরেই তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। ভোর চারটে পর্যন্ত মারধর চলে। মাঝে একবার মহসিনার শ্বশুর ও শাশুড়িও আসেন। তার পর সকাল সাতটা নাগাদ মহসিনা ঘুমোতে চেষ্টা করলে ফের তাঁর স্বামী শামিম ও দেওর সালিম এসে তাঁর গলার নলি কাটতে চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মহসিনা বাধা দিতে গেলে প্রথমে তাঁর আঙুল ও পরে গলার নলি কেটে দেয় শামিমরা। মহসিনার লিখিত বিবৃতি নেওয়া হয়েছে। তবে মহসিনার মেডিক্যাল রিপোর্ট অবশ্য অন্য কথা বলছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, ওই তরুণী নিজেই তাঁর গলার নলি কেটেছেন ৷ এর ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
Be the first to comment