না ১৫ বছরের রমন-রাজ শেষ ছত্তীসগড়ে ৷ টানা আড়াই ঘণ্টা গণনার পর বিজেপির দখলে রয়েছে মাত্র ১৮টি আসন ৷ এমনকী, নিজের আসনেও পিছিয়ে রয়েছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংও।
অন্যদিকে, একের পর এক বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের পর কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৬৬টি আসন ৷ ক্রমশ পিচ্ছোচ্ছে বিজেপি ৷ তিনি রাজনন্দগাঁওয়ের প্রার্থী। বাজপেয়ীর আত্মীয়া করুণা শুক্লার কাছে তিনি পিছিয়ে ৷
শুধু বিজেপিই নয় ৷ কংগ্রেসের ধারেকাছেও নেই জেসিসি(জে) ৷ জেসিসি(জে)-র দখলে রয়েছে মাত্রা ৫টি আসন ৷ অজিত যোগীর জনতা কংগ্রেস লড়েছে ৫৫টি আসনে ৷
ছত্তীশগড়ে মোট আসন সংখ্যা ৯০। বিজেপি ও কংগ্রেসের সব আসনেই প্রার্থী রয়েছে।
মাওবাদী হামলা, চিত্র সাংবাদিকের মৃত্যু, প্রতিষ্ঠান বিরোধী ঝড় এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ছত্তীসগড়ে বিজেপির টালমাটাল পরিস্থিতি ছিল ৷ ভোটের দু’দিন আগেও মাওবাদী হামলায় কেঁপে ওঠে বিজাপুর ৷ কিন্তু তা স্বত্ত্বেও ভোটের নির্বাচনী প্রচারে ক্রমাগত মাওবাদী দমনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ যা নিয়েই বিরোধী দলের তোপের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী ৷ ২০০৩ সাল থেকে টানা ১৫ বছর ধরে ছত্তীসগড়ে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি ৷ কিন্তু তা স্বত্ত্বেও বেকারত্ব, মাওবাদী দমন-সহ একাধিক সমস্যার কেন সমাধান হয়নি ? সেই নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে ৷
Be the first to comment