এখনও পর্যন্ত সমাজকর্মী নরেন্দ্র দাভোলকরের খুনের ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। আপাতত জানা গিয়েছে, দাভোলকর বাদে অপর দুই সমাজকর্মী এম এম কালবুর্গি, গোবিন্দ পানসারে এবং সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যায় একই সংগঠন জড়িত। এমনকী চারজনকে খুনে একই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের ধারণা। এই বিষয়টি লক্ষ করে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, চারটি খুনের মধ্যে যদি কোন সাধারণ সূত্র থাকে, তাহলে সবগুলি মামলাতেই তদন্ত করুক সিবিআই। বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি নবীন সিনহার এক বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়।
বিচারপতিরা কর্ণাটক পুলিশকেও কালবুর্গি হত্যায় চার্জশিট পেশ করতে বলেছেন। সেজন্য সময় দেওয়া হয়েছে তিন মাস। কয়েকমাস আগে কর্ণাটক সরকারকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্টের অপর একটি বেঞ্চ বলে, ওই মামলায় তদন্ত আদৌ এগচ্ছে না। স্রেফ ‘কুঁড়েমি’ করে সময় কাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলা বম্বে হাইকোর্টে পাঠানোর কথা ভাববে। কালবুর্গির স্ত্রী উমা দেবী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, তাঁর স্বামীর খুনের ঘটনায় তদন্তের জন্য স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হোক। বিচারপতি আর এফ নরিম্যান ও বিচারপতি নবীন সিনহাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে এসম্পর্কে রিপোর্ট দিতে বলে দু’সপ্তাহের মধ্যে।
হাম্পি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য কালবুর্গি ২০১৫ সালের ৩০ অগাস্ট খুন হন। কর্ণাটকের ধারোয়াড় নামে এক জায়গায় তাঁকে গুলি করা হয়। ওই বছরেই ১৬ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দ পানসারে ও তাঁর স্ত্রী যখন মর্নিং ওয়াক ফিরছিলেন বাইকে চড়া দুষ্কৃতীরা তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে লক্ষ করে গুলি চালায়। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি খুনিরা ধরা পড়বে। কিন্তু ধরা পড়েনি।
নরেন্দ্র দাভোলকরও মর্নিং ওয়াক সেরে ফেরার পথে খুন হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ২০ অগাস্ট খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। গৌরী লঙ্কেশ খুন হন ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খুন হন নিজের বাড়ির সামনেই। সেদিন সন্ধ্যা আটটা নাগাদ তিনি যখন বাড়ির চাবি খুলছেন, এমন সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে।
নরেন্দ্র দাভোলকরের গড়া সংগঠন মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতি ৩০ বছর পূর্ণ করল মঙ্গলবার। তাঁর জীবিতকালে সংগঠনটির নাম মানুষের মাঝে বিশেষ পরিচিত ছিল না। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরে সংগঠনটি বিস্তৃত হয়।
Be the first to comment