শীত পড়তেই সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ফের শুরু হয়েছে গরু পাচার। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই ছিল সুতির বিভিন্ন গ্রামের নাম। সেই ট্রাডিশন এখনও চলছে। গত এক মাসে সুতির বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় শ’খানেক গরু এবং জনা দশেক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ানেরা। মঙ্গলবার ভোররাতেও গরু পাচারের সময় সাত জনকে হাতে নাতে ধরে সুতি থানার পুলিশ।
পাচারকারীদের সাত জনই বাংলাদেশি, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সুতির লক্ষীপুর এলাকা থেকে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম জহরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, আমিন মোহ, মহম্মদ খোদাবক্স, মহম্মদ বাবুল শেখ, রবিউল ইসলাম ও তারিকুল ইসলাম। সকলেরই বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০টি গরু।
বিএসএফের দাবি, গরু পাচারের অন্যতম প্রধান রুট সরলা গ্রামের মাঠ এবং রাস্তা। এই পথ ধরে অতি সহজেই সুতির চাঁদের মোড় ও আহিরণ সেতু দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, সেই পথ দিয়েই পাচারকারীরা সরলা গ্রামের পথেই এক পাল গরু নিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে। আগে থেকেই খবর পেয়ে ওঁৎ পেতেছিল সুতি থানার পুলিশ।
ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে সুতি থানার পুলিশ।
Be the first to comment