মঙ্গলবার কয়েকটি রাজ্যে ভোটে ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। ভোটে জয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার তাঁর ভগ্নীপতি রবার্ট ভদ্র সরব হলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু তাঁর ঘোষণা, আমি পালিয়ে অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতে যাব না। ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করব। তবে আমার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রক্রিয়া হওয়া চাই যথাযথ ও আইনসম্মত।
তাঁর কথায়, আমার নাম রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেলের জন্য ব্যবহৃত হোক তা চাই না।
রবার্টের দাবি, ইতিমধ্যে ইডির সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, আমি ইডির প্রতিটি নোটিশের জবাব দিয়েছি। কিন্তু আমার পরিবার এখন চাপের মধ্যে আছে। আমার মা অসুস্থ। আমার বাড়ির চত্বর ইডির লোকেরা এসে তছনছ করে দিয়েছে। তালা ভেঙেছে। সবকিছুই আইনসম্মতভাবে করা উচিত।
রবার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর থেকে টাকা নিয়েছেন। গত সপ্তাহে তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি করে ইডি। দিল্লির তিনটি জায়গায় ও বেঙ্গালুরুতে ইডির অফিসাররা তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। রবার্টের আইনজীবী সুমন খৈতান বলেন, ইডি বেআইনি কাজ করছে। অন্যদিকে ইডির দাবি, রবার্টের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই অস্ত্র ব্যবসায়ী টাকা দিয়েছেন বলে প্রমাণ আছে।
খৈতানের দাবি, রবার্ট ভদ্রের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশিতে গিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তাঁরা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রবার্ট ভদ্রের নামে আগেও বেশ কয়েকবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০০২ সালে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নেহরু-গান্ধী পরিবারের নাম করে নানা জায়গা থেকে বেআইনি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। ২০১২ সালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের তৎকালীন নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছিলেন, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডিএলএফের সঙ্গে বেআইনি চুক্তি হয়েছে রবার্ট ভদ্রের। ডিএলএফ রবার্টকে ৬৬ কোটি টাকা দিয়েছে। সেইসঙ্গে গুরগাঁওতে দিয়েছে খুব দামি কয়েকটি ফ্ল্যাট। বিনিময়ে রবার্ট কংগ্রেস শাসিত হরিয়ানায় ডিএলএফকে নানা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।
২০১৪ সালে হরিয়ানায় নির্বাচনের সময় রবার্ট ভদ্র-ডিএলএফ চুক্তি বড় ইস্যু হয়ে ওঠে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার তদন্তের নির্দেশ দেন।
রবার্ট প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণও করা যায়নি।
Be the first to comment