“এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে বুঝতে পারি নি”, জানালেন মৃত সারফুদ্দিনের স্ত্রী

Spread the love

মাস ছয়েক আগে বারাসত কলেজে গণ্ডগোলের সময় হামলার নিশানা হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন কোনওমতে। পায়ে গুলি লাগায় হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো না। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা-গুলিতে প্রাণ গেল জয়নগরের তৃণমূল নেতা সারফুদ্দিন খানের।

পরিবারের লোকজনেরাই জানাচ্ছেন, মাস ছয়েক আগে তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর জয়নগর টাউন সভাপতি হয়েছিলেন সারফুদ্দিন। এলাকার দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিতি তৈরি হচ্ছিল। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন তিনি, এমন অভিযোগ কেউ করেননি। তবে দলে পদ পাওয়ার পর থেকেই যে তাঁর শত্রুর সংখ্যা বাড়ছিল, জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের অনেকেই। তবে কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে সেই উত্তর হাতরাচ্ছেন।
বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, যে গাড়িটিতে চড়তেন সেই গাড়ির মালিক ছিলেন সারফুদ্দিন। গতকাল সন্ধ্যায় যখন বিধায়কের গাড়িতে হামলা হয় সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করেও বোমা গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সারফুদ্দিনের। জয়নগরের পেট্রোল পাম্পের কাছে গতকাল সন্ধ্যায় বোমা গুলি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বিধায়ক গাড়িতে না থাকায় বেঁচে যান। প্রাণ যায় গাড়ি চালক সহ তিনজনের।

তাঁর মেয়ের বয়স ৬। ছেলে তিন বছরের। বাড়িতে দুই সন্তান ছাড়াও রয়েছেন স্ত্রী। চার ভাইয়ের মধ্যে সবথেকে ছোট ছিলেন সারফুদ্দিন। স্ত্রী রুকসানা বিবি জানান, নানা কাজে সারাক্ষণই বাড়ির বাইরে যেতেন। এ দিন বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন সারফুদ্দিন। তিনি বলেন, “প্রতিদিন ওই সময় বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। সেখানে গিয়েছিলেন বলেই মনে করেছিলাম। এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে বুঝবো কী ভাবে?”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*