৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন, তৎপর প্রশাসন

Spread the love

গতমাসেই দক্ষিণ ভারতে আছড়ে পড়েছিল ঘুর্ণিঝড় ‘গজ’। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের একটি শক্তিশালী সাইক্লোন আছড়ে পড়তে চলেছে অন্ধ্র উপকূলে। প্রবল বৃষ্টিপাতের হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে অন্ধ্র প্রশাসন।

মূলত উপকূলবর্তী ছ’টি জেলা পূর্ব গোদাবরী, পশ্চিম গোদাবরী, কৃষ্ণা, গুন্টুর, প্রকাশম ও নেল্লোর সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রয়ালসীমা জেলাতেও ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু সংশিষ্ট জেলাশাসকদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি নিজে পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছেন। কোথায় কোন অফিসার ত্রাণের দায়িত্বে থাকবেন সে বিষয়েও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিচ্ছেন। শুক্রবার ভেলাগাপুড়িতে রাজ্য সচিবালয়ে তৈরি হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

এদিন বিকালে আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে।  আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তা খুব সম্ভবত উত্তর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরতে থাকবে। ১৭ ডিসেম্বর সম্ভবত অন্ধ্র উপকূলে ওঙ্গলে এবং কাকিনাড়ার মাঝামাঝি অঞ্চলে আছড়ে পড়বে সেই ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ুতে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে শুরু করবে। ১৬ ও ১৭ তারিখে সমুদ্র থাকবে খুবই উত্তাল। তবে ঝড়ের গতিবেগ সাইক্লোন গজের চেয়ে কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই বছরে দেশের পূর্ব উপকূলে এখনও পর্যন্ত তিনটি সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে। তাদের নাম সাইক্লোন দয়া, সাইক্লোন তিতলি এবং সাইক্লোন গজ। সব মিলিয়ে এবছর দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে সাতটি সাইক্লোন এসেছে। ১৯৮৫ সালের পরে আর কখনও একই বছরে এতগুলি ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়েনি দেশ।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সাইক্লোন গজ আছড়ে পড়ে তামিলনাড়ুতে। আগেই নিচু এলাকাগুলি থেকে ৮০ হাজার মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তাতেও জীবনহানি এড়ানো যায়নি। ঝড়ের দাপটে মারা গিয়েছিলেন ৪৬ জন। গৃহহীন হয়েছিলেন তিন লক্ষ মানুষ। রাজ্যে উপড়ে পড়েছিল ১১ লক্ষ গাছ। বিধ্বস্ত অঞ্চলে ঘরবাড়ি ও অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে তামিলনাড়ু।

ঝড়ের ত্রাণকার্য নিয়ে এখনও তুমুল বিতর্ক চলছে রাজ্যের শাসক এডিএমকে এবং বিরোধী ডিএমকে-র মধ্যে। বিরোধীদের অভিযোগ, দুর্গত মানুষকে যে ধুতি ও শাড়ি দেওয়া হয়েছে সেগুলি ছেঁড়া। সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*