শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগণার ঘোলায় জনসভা করতে গিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই সমাবেশ থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এ দিনের সভায় গেরুয়াবাহিনীর গো-রাজনীতি নিয়ে অভিষেক বলেন, “চোদ্দ সালে গরু দুধ দিয়েছিল। আর উনিশের ভোটে ওই গরু ওদের (পড়ুন বিজেপি-র) মুখে গোবর লেপে দেবে।”
এ দিনের জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, “যারা বলেছিল রথের চাকা দিয়ে সব গুঁড়িয়ে দেবে, পাঁচ রাজ্যের ভোটের পর তাদের কী হাল হয়েছে তা সবাই চাক্ষুষ করছেন।” এদিন যুব তৃণমূল সভাপতি আরও বলেন, “একা উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলাই ১৯ তারিখের ব্রিগেডে দশ লক্ষ লোকের জমায়েত করবে।” বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের মধ্যে তেলেগু দেশম সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু, ডিএমকে নেতা স্টালিন, আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে ওই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
সেই সঙ্গে হিন্দুত্বের রাজনীতি নিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “আমি রোজ সকালে সূর্য প্রণাম করি। স্নান সেরে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করি। আমি বিশ্বাস করি স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বে। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী, যোগী আদিত্যনাথদের হিন্দুত্বে আমি বিশ্বাস করি না।”
এমনিতেই গেরুয়াবাহিনীর ছোট, মেজো নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলেন প্রায়ই। কয়েক মাস আগে মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠে এসে সেই অবিযোগ আরও খানিকটা উস্কে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিনের সভা থেকে সে ব্যাপারেও মুখ খোলেন অভিষেক। বলেন, “যাঁরা বলছেন হিন্দুদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেছেন, তাঁরা গিয়ে দেখে আসুন দক্ষিণেশ্বর। গিয়ে দেখে আসুন তারকেশ্বর।” সেই সঙ্গে এ-ও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। কারণ আমরা মানব ধর্মে বিশ্বাস করি।”
Be the first to comment