বাড়ির ছোট্ট ছেলে বেশি আদর পাচ্ছে। সেই রাগেই না কি পাঁচ বছরের শিশুকে নৃশংস ভাবে খুন করে তারই কাকিমা। পাণ্ডুয়ার রজ পাড়া এলাকার ঘটনা। শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয় সাকিব নামে ওই শিশুর ব্যাগ বন্দি দেহ । ঘটনায় কাকিমা কোহিনুর সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ পাশের বাড়ি খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাকিব। মা সবনম বেগম ছেলের খোঁজ শুরু করেন। নিখোঁজ হওয়ার পর অভিযোগ দায়ের করেন পাণ্ডুয়া থানায়।ওইদিনই রাতে সাকিবের দেহ আজিজুল শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। এই আজিজুল শেখ সাকিবের কাকিমা অর্থাৎ কোহিনুরের ভগ্নিপতি বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করে সাকিবের ব্যাগবন্দি দেহ বোন তাজমিরা শেখের বাড়িতে নিয়ে যায় কোহিনুর। মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে তাজমিরার স্বামী আজিজুল। তাই কোহিনুরের সঙ্গেই তাজমিরা ও আজিজুলকে আটক করেছে পুলিশ।
দুই জায়ের রেষারেষির কারণেই ছোট্ট সাকিব খুন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোহিনুরের দাবি, তার নাবালিকা মেয়ে বাড়ির বড়দের স্নেহ থেকে বরাবরই বঞ্চিত। সেই কারণে সবনমের সঙ্গেও তার অশান্তি লেগে থাকত। এদিন পাশের বাড়ি সাকিব খেলতে গেলে তাকে নিজের ঘরে ডাকে কোহিনুর। তারপর কি হয় তা এখনও স্বীকার না করলেও, পুলিশের অনুমান নিজের ঘরেই সাকিবকে খুন করে সে ।
গতকাল কোহিনুর সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সবনম। প্রথম দিকে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির ্অভিযোগ ওঠে। পরে থানা ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখালে সাবিরের দেহের ময়না তদন্ত হয়।পুলিশের প্রশ্নে অনেকটাই ভেঙে পড়ে কোহিনুর। তবে স্বীরারোক্তি না মেলায় এখনও তিনজনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
Be the first to comment