২১ থেকে ৩০ নভেম্বর কর্তারপুর সাহিব পরিদর্শনের জন্য ৩৮০০ ভারতীয় শিখকে ভিসার অনুমোদন দিয়েছিল পাকিস্তান। শুধু ভারতীয়দের জন্য নয়, অন্যান্য দেশের শিখ তীর্থযাত্রীদেরও এই ভিসা দেওয়া হয়। তবে দিল্লি থেকে এই পাসপোর্ট খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে কোনও দায় নেই বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।
এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাটি বিদেশমন্ত্রকের নজরেও আনা হয়েছে। যাঁদের পাসপোর্ট খোয়া গেছে, তাঁরা ছাড়াও একাধিক পাসপোর্ট হোল্ডার এফআইআর করেছেন। তারপরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। তারা সবকটি পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাক হাই কমিশনের সঙ্গে কথাও বলছে ভারত।
কিন্তু পাকিস্তানের এই দাবি মানতে রাজি নয় ভারত। বিশেষ করে নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে এনেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিনিয়ত সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাশ্মীর হয়ে তারপর পাঞ্জাব হয়েই দিল্লির দিকে আসার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। এই কাজের জন্য ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করা হতে পারে বলেই ধারণা বিদেশমন্ত্রক। এখন দেখার এই বিষয়ে আর কী প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ভারতের তরফে।
গত মাসে পাকিস্তানে তীর্থের উদ্দেশে গিয়েছিলেন বেশ কিছু ভারতীয় শিখ। তারপরে কর্তারপুর করিডরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্যই আবেদন করেছিলেন তাঁরা। তখনই দেখা গেল এই ঘটনা। উধাও হয়ে গেছে ২৩ ভারতীয়ের পাসপোর্ট। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
জানা গিয়েছে, গত মাসে কর্তারপুরের করিডরের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল শিখ তীর্থক্ষেত্র কর্তারপুর সাহিবে। সেখানে যাওয়ার জন্যই ভিসার আবেদন করেছিলেন বেশ কিছু শিখ তীর্থযাত্রী। সেখানেই দেখা যায় নয়াদিল্লির পাক দূতাবাস থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে এই ২৩ জনের পাসপোর্ট।
Be the first to comment