নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর মায়ের প্রসঙ্গ তুলে এনেছিল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রে রে করে তেড়ে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। মুখ খুলেছিলেন মোদী নিজেও। এ বার সেই একই পথে হাটলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাহুল গান্ধীর দেশপ্রেম বোঝাতে তুলে আনলেন সোনিয়া গান্ধীর প্রসঙ্গ।
শনিবার টুইট করে কৈলাস লেখেন, ”বিদেশিনী মায়ের ছেলে কখনই দেশপ্রেমিক হতে পারে না। তার মনের মধ্যে দেশের জন্য ভালো কিছু করার অভিপ্রায়ও আসতে পারে না।” রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী আদতে ইতালির। সেই প্রসঙ্গেই টুইটে ‘বিদেশিনী’ কথার ব্যবহার করেন কৈলাস। তবে তাঁর মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় কংগ্রেসের তরফে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদী কৈলাসকে অবিলম্বে মানসিক চিকিত্সা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কটাক্ষের সুরেই প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি’র। মধ্যপ্রদেশে ১৫ বছর পরে কংগ্রেসের কাছে গদি হারাতে হয়েছে। আর এই ধাক্কা সহ্য করতে পারেননি বিজয়বর্গীয়। তাই তিনি এই ধরণের মন্তব্য করেছেন। আসলে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের কাছে হার বিজেপির কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। তাই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উচিত মানসিক চিকিত্সা করানোর।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও রাহুল গান্ধীর বংশ নিয়ে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে সোনিয়া গান্ধীর বিদেশি পরিচয় সামনে এনে বারবার এই অভিযোগ আনা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও নির্বাচনী প্রচারে রাহুলকে ‘পরদেশী’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। আলতাফ রাজার বিখ্যাত সেই গানের কলি টেনে এনে রাহুলকে খোঁচা মেরে বলেছিলেন, ”তুম তো ঠেহরে পরদেশী সাথ কেয়া নিভাওগে।” যদিও রাহুল গান্ধী এর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি।
Be the first to comment