২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গান্ধীই। সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছিলেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্তালিন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাহুলেরই দলের নেতা কমলনাথ বললেন, আমাদের সভাপতি কখনও প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি। স্তালিন আচমকা রাহুলকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করায় বিরোধী শিবিরে অনেকে অসন্তুষ্ট হন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বিরোধীরা আনুষ্ঠানিকভাবে জোট গড়ার আগেই এমন ঘোষণা করার কী প্রয়োজন ছিল? বিরোধীদের সেই উদ্বেগের কথা ভেবেই কমলনাথ ওই মন্তব্য করেছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
সোমবারই ভোপালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন কমলনাথ। শপথ নেওয়ার আগে ৭২ বছর বয়সী ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, দলের কাউকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য আমাদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই। রাহুল গান্ধীরও তাড়াহুড়ো আছে বলে শুনিনি।
তাঁর কথায়, আমি জানি না রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কিনা। রাহুল নিজে কখনও বলেননি তিনি প্রধানমন্ত্রী পদটি পেতে চান। বিরোধী জোটের প্রত্যেক শরিকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তাঁর পরে সিদ্ধান্ত হবে।
কবে সিদ্ধান্ত হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে কমলনাথ বলেন, সবকিছু ঠিক হবে লোকসভা ভোটের পর। যদি নেতারা মিলে একজনের নাম ঠিক করেন, তবে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। এখনই এসম্পর্কে কিছু বলা যায় না। লোকসভা ভোটের পরে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
রবিবার চেন্নাইয়ে প্রয়াত ডিএমকে নেতা করুণানিধির মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন স্তালিন। সেখানে তিনি বলেন, থালাইভার কালাইগনারের মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আমি প্রস্তাব দিতে চাই, রাহুল গান্ধীকে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী করা হোক। ফ্যাসিস্ত, নাৎসি মোদী সরকারকে পরাস্ত করার ক্ষমতা রাহুলের আছে। আমরা তাঁর হাত শক্ত করব। তবে দেশ রক্ষা পাবে।
স্তালিন একথা বলার পরে জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব সোমবার তিন রাজ্যে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। অনেকের ধারণা হয়, রাহুলকে তড়িঘড়ি ভাবী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করার জন্যই তাঁরা ওই অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাচ্ছেন।
কমলনাথ এদিন বলেন, স্তালিনের ঘোষণার সঙ্গে মমতাদের না আসার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি মায়াবতী ও মমতার সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ কারণে তাঁরা আসতে পারছেন না। মায়াবতী বলেছেন, তিনি অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে যাবেন।
Be the first to comment