উনিশের সেমিফাইনাল ম্যাচের রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে সেই ১১ তারিখ। তারপর অপেক্ষা চলেছে কারা হচ্ছেন হিন্দি হার্টল্যান্ডের তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের জটিলতা কেটে যাওয়ার পর, রবিবাসরীয় দুপুরে ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নামও ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। হাইকম্যান্ডের ইচ্ছেতেই একই দিনে শপথ হচ্ছে তিন রাজ্যে। এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্য, শপথ থেকে শপথে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক বাস নেতা।
কে নেই সেখানে! কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, লোকতান্ত্রিক জনতা দল সুপ্রিমো শরদ যাদব, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লা থেকে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন-সহ একঝাঁক নেতা ছুটে বেড়াচ্ছেন জয়পুর থেকে ভোপাল, রায়পুর।
সোমবার সকালে জয়পুরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। সেই শপথ অনুষ্ঠান শেষে জয়পুর থেকে ভোপালে যান সমস্ত বিরোধী নেতারা। কিন্তু কমলনাথের শপথ সেরে ছত্তীসগড়ে ভূপেশ বাঘেলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বাগড়া দিয়েছে আবহাওয়া। রাহুল, স্ট্যালিনদের বিমান আদৌ রায়পুরের মাটি ছুঁতে পারবে কি না সে ব্যাপারে সোমবার বিকেল চারটে পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে, শপথগ্রহণ পিছিয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। বিকল্প হিসেবে খোলা মাঠে না করে কোনও ঘেরা জায়গায় এই অনুষ্ঠান হয় কি না তারও পরিকল্পনা করছে ছত্তীসগড়ের প্রশাসন।
বাসে না থকেলেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির সভাপতি চন্দ্রবাবু নায়ডু। সমাজবাদী পার্টির তরফে নিজে না গেলেও, দূত পাঠিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব। তবে, ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা বহুজন সমাজবাদী পার্টি নেত্রী মায়াবতী।
রবিবার, প্রয়াত ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্যের ছবি সামনে এসেছিল। সেটা ছিল মঞ্চে। এ বার বাসের সিটে বসা নেতাদের ছবি দেখে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, শেষমেশ সামনের বছর পার্লামেন্টে গিয়ে এই বাস পৌঁছোয় কি না এখন সেটাই দেখার।
Be the first to comment