মাস কয়েক আগের ঘটনা, শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তীব্র মতান্তরের জেরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শিক্ষা দফতর সূত্রে বলা হচ্ছিল, মেধা তালিকা প্রকাশ না করে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন সুবীরেশবাবু। তিনি সরে যেতেই, বেহালা কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মিত্রকে কমিশনের চেয়ারপার্সন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বেহালা কলেজ পার্থবাবুর নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শর্মিলা মিত্র দায়িত্ব নিয়েই মেধা তালিকা ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের জন্য নোটিশ জারি করে দিয়েছিলেন রাতারাতি। যদিও তা ধাক্কা খেয়েছিল হাইকোর্টে! এবং বেইজ্জতি হয়েছিল সরকারের।
বাইরের কেউ টের পাওয়া পরের কথা শিক্ষা দফতরকে প্রায় চমকে দিয়ে সেই শর্মিলা মিত্রকেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবর্তে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফিরিয়ে আনা হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকেই। স্কুল সার্ভিস কমিশনে এই বদল শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়ে বা তাঁর নির্দেশে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘটনা হল, এ ক্ষেত্রে সম্ভবত সেটাও হয়নি। কারণ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পার্থবাবু জানিয়ে দেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনে চেয়ারপারসন পদে বদল হয়তো হবে।
Be the first to comment