২০১৮ সালেই সবথেকে বেশি সাংবাদিক খুন হয়েছেন, অত্যাচারিত হয়েছেন, হিংসার মুখে পড়েছেন। তথ্য বলছে, এর আগে এত বেশি বৈরিতার মুখোমুখি হতে হয়নি সংবাদমাধ্যমকে। গতবছরের তুলনায় হত্যা, জেল, পণবন্দি হওয়া বা গায়েব হতে বাধ্য হওয়ার ঘটনা অনেকটাই বেড়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট ফ্রন্টিয়ার্সের রিপোর্ট জানাচ্ছে, এর জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতারা। তাঁরাই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে মদত দিচ্ছেন। ২০১৮ সালে মোট ৮০ জন সাংবাদিক মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে ৬১% খুন হয়েছেন পরিকল্পনামাফিক। তাঁদের রিপোর্টের জন্য তাঁদের খুন হতে হয়েছে। ৩৯% মারা গিয়েছেন তাঁদের কাজ করতে গিয়ে।
রিপোর্ট বলছে গোটা দুনিয়ায় আটক করা হয়েছে ৩৪৮ জন সাংবাদিককে। বন্দি করা রাখা হয়েছে ৬০ জনকে। রিপোর্ট বলা হয়েছে, গত ১২ মাসে যেমন বহু আলোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তেমনই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো নেতাদের সাংবাদিকদের প্রতি হুমকির ঘটনাও ঘটেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টোফার দেলোরি বলছেন, অবস্থা বাস্তবিকই সঙ্গিন। সাংবাদিকদের প্রতি নেতা, ধর্মগুরু বা ব্যবসায়ীদের লাগাতার হুমকির প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দুনিয়াজুড়েই। আক্রান্ত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড এবছরের সবথেকে সাড়া জাগানো খবর।
তেমনই শ্লোভাকিয়ার সাংবাদিক জান কুসিয়াকের হত্যা, মায়নামারে রয়টার্সের সাংবাদিক কিয়েউ সো উ এবং ওয়া লোনের গ্রেফতারি দেখাচ্ছে ঝামেলায় ফেলা সাংবাদিকদের শায়েস্তা করতে রাষ্ট্রশক্তি কতদূর যেতে পারে। ২০১৮ সালে আমেরিকায় মারা গিয়েছেন ৬ জন সাংবাদিক। গত জুনে চারজন মারা গিয়েছেন অ্যানাপোলিসের ক্যাপিটাল গেজেট সংবাদপত্রে হামলার ঘটনায়। দুজনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ক্যালোরিনায় প্রাকৃতি বিপর্যয় কভার করতে গিয়ে। সবথেকে বেশি সাংবাদিক মারা গিয়েছন আফগানিস্তানে। সেখান ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই সিরিয়া, মেক্সিকো আর ইয়েমেনের জায়গা।
Be the first to comment