দিল্লি থেকে সিআইডি’র জালে ধরা পড়লেন ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল

Spread the love

আত্মগোপন করেও হলো না শেষরক্ষা। দিল্লি থেকে সিআইডি’র জালে ধরা পড়লেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল।
সিআইডি সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন করে দিল্লিতে আত্মগোপন করে ছিলেন সুজিত। নিজের ভোল সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছিলেন। রীতিমতো বড় দাড়ি রেখেছিলেন। তারপরেও সিআইডি’র নজর এড়ায়নি। শনিবার সকালে দিল্লির মালব্যনগরের কাছে হ্যামিল্টন হোটেল থেকে সুজিতকে গ্রেফতার করে সিআইডি-র গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রে খবর, ভবানীভবনে এনে জেরা করা হবে সুজিতকে।

কয়েক মাস আগে সুজিতকে বাগে পেয়েও ধরতে পারেনি সিআইডি। ফোন ট্র্যাক করে দেখেছিলেন, সুজিত রয়েছেন লোকমান্য তিলক থানায়। ভবানী ভবন থেকে ফোনে দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়, লোকমান্য তিলক থানায় থাকা যুবককে আটকে রাখতে। কারণ তিনি সিআইডি-র খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড।’ এ দিকে কলকাতা থেকে দিল্লির বিমান ধরেন এক ঝাঁক সিআইডি আধিকারিক। কিন্তু থানায় পৌঁছে তাঁরা দেখেন, সুজিত নেই।

দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ভারতী ঘোষ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামী এমভি রাজুকেও। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভারতী অর্ডার পেয়েছেন তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক মামলায় নাম রয়েছে ভারতী ঘোষের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ দুটি মামলার চার্জশিটে ভারতীকে ফেরার বলে উল্লেখ করেছেন। আর দূরে থেকে অডিও বার্তার মাধ্যমে ভারতী ঘোষ একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি চিঠি লিখে ভারতী ঘোষ জানান, তিনি পদত্যাগ করতে চান। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতী ঘোষের মেদিনীপুরের বাড়ি, তাঁর বাঁশদ্রোণী ও মাদুরদহের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের জমির কাগজ, হার্ড ডিস্ক, পেন ড্রাইভ, সোনার গয়না, প্রায় ৫ কোটি টাকা ক্যাশ ও ৫৭ টি বিদেশী দামী মদের বোতল উদ্ধার করে সিআইডি।

এই প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষ জানান, তাঁর না থাকার সুবাদে ইচ্ছা করেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সব জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ভারতী ঘোষ কোথায়? এ নিয়ে জল্পনার শেষ নেই রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেতারা বলেন, তিনি রয়েছেন বিজেপি নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়ে।

আবার বিজেপি নেতারা বলেন, ভারতীকে আড়াল করে রেখেছে শাসক দলই। কারণ তিনি মুখ খুললে বড় নেতাদের বিপদ হয়ে যাবে। মাঝখানে ভারতী ইস্যু চাপা পড়ে গেলেও এ দিন দেহরক্ষীকে গ্রেফতারের পর ফের তা উস্কে গিয়েছে। এখন দেখার, সুজিতকে কান করে মাথা ধরতে পারে  কি না সিআইডি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*