নানারূপে হনুমান, কখনও দলিত, কখনও জাঠ, তো কখনও আবার মুসলমান। হনুমান কী ছিলেন, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজেপি নেতা নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন। এ বার আসরে নামলেন কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর। বললেন, হনুমানকে বিরক্ত করার আগে সাবধান হওয়া উচিত বিজেপির।
সোমবার বলিউড অভিনেতা তথা উত্তরপ্রদেশের এই কংগ্রেস নেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভগবান হনুমানকে বিরক্ত করার আগে বিজেপি’র সাবধান হওয়া উচিত। লেজের এক ঝটকায় তিন রাজ্য থেকে বিজেপিকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এ বার লঙ্কায় আগুন লাগার অপেক্ষা।” সদ্যসমাপ্ত তিন রাজ্যে বিজেপির হারের পর তাকে রামায়ণের লঙ্কাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে বিজেপিকে খোঁচা দেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ।
হনুমানকে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্যের সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে থেকে। রাজস্থানের ভোট প্রচারে নাকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ‘হনুমান দলিত ছিলেন’, এই মন্তব্য করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, দলিত ভোট নিজেদের দিকে করার জন্যই এমন মন্তব্য করেছিলেন যোগী। কিন্তু যোগী অনুগামীদের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর বর্তমানে বিজেপি ত্যাগ করা সাংসদ সাবিত্রী বাই ফুলেও বলেছিলেন, হনুমান দলিত ছিলেন।
গত সপ্তাহে হনুমানকে নিয়ে ফের বিতর্ক তোলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি কাউন্সিলার বুক্কল নবাব। তিনি বলেন, “মুসলিমদের মধ্যে রহমান, রমজান, ফরমান, জীশান, কুরবান প্রভৃতি নাম হয়। এই নামগুলো হনুমানের সঙ্গে মিলে যায়। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে হনুমান আসলে মুসলিম ছিলেন।
বুক্কল নবাবের করা এই মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশের আরেক বিজেপি নেতা লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “আমার মনে হয়, হনুমান জাঠ ছিলেন। কারণ একজন জাঠ যখন কাউকে বিপদে পড়তে দেখেন, তখন কোনও কারণ জিজ্ঞাসা না করেই তাঁকে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। হনুমানও তাই।”
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতাদের একের পর এক মন্তব্যের পর এ বার তাঁদেরই পালটা দিলেন রাজ বব্বর। এখন দেখার রাজ বব্বরের কথার পালটা কোনও বিজেপি নেতার মুখে শোনা যায় কিনা।
Be the first to comment