বড়দিন আর সঙ্গে জাঁকিয়ে শীত, বাঙালীর উৎসব পালনের উপযুক্ত সঙ্গত। তাই কেক, কমলালেবু ব্যাগে ভরে সকাল থেকে টোটো কোম্পানি বঙ্গবাসী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতো অব্যাহত পারদ পতন। মঙ্গলবার কলকাতার পারদ নামল ১২.১ ডিগ্রি, এটাই এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম দিন। তবে, যেখানে বছরের প্রায় আটমাসই ত্রাহি ত্রাহি গরম, তারা কি ডরায় কভু পারদ পতনকে।
বরং সকালের মিঠে রোদ গায়ে মেখে উৎসব পালনেই মশগুল দক্ষিণবঙ্গবাসী। সকাল থেকেই নিউটাউনের ইকো পার্ক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা – সর্বত্রই উৎসাহী মানুষের ভিড়। বড়দিনের ছুটি চেটেপুটে নিতে হাজির আট থেকে আশি। তবে, সবচেয়ে খুশি বোধহয় ক্ষুদেরাই। চিড়িয়াখানায় সকাল থেকেই পিকনিকের মেজাজ। শুধু কলকাতা নয়, আশপাশের বহু জেলা থেকেই সপরিবারে সেখানে হাজির হয়েছেন অনেকে। দিনভর হুল্লোড়, সঙ্গে খাওয়া দাওয়া। এবার চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি তিনটি শিম্পাঞ্জি। তাদের হুটোপুটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে ছোটরা। এতো অতিথি দেখে সৌজন্যের খাতিরে সামনে এসেছেন ডোরাকাটাও। হাতিরা অবশ্য রয়েছে নিজেদের রাজকীয় চালেই। ভিক্টোরিয়ার ছবিটা অবশ্য আলাদা। সেখানে বেশি ভিড় সেলফি শিকারিদের।
শীতের সকালে হালকা কুয়াশা মোড়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে পারফেক্ট ফ্রেম। সঙ্গে আছে টাঙ্গায় চড়ার অকর্ষণও। তবে, শুধু এখানেই নয়, সকালে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা ছাড়াও, মহানগরের বিভিন্ন চার্চে যান অনেক দর্শনার্থী। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন। ব্যান্ডেল চার্চ, কৃষ্ণনগর এই সব জায়গাতেও বড়দিনের সকাল থেকে উৎসবের মেজাজ ধরা পড়ে। রাজ্য জুড়ে পিকনিক স্পটগুলিতেও ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা। ডায়মন্ড হারবার, জোকা, টাকিতে ডে আউটারদের ভিড়। এদিকে, শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মঙ্গলবারই শেষদিন। তাই সেখানেও এদিন সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই জমজমাট যিশুর জন্মদিন।
Be the first to comment