পিয়ালি আচার্য,
গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিলেন কপিল মুনির আশ্রমে। আশ্রম ও মন্দিরের প্রধান মোহান্ত জ্ঞানদাসের সঙ্গে এদিন কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মোহান্ত জ্ঞানদাস সাংবাদিকদের জানান, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই, তাহলেই দেশের কল্যাণ হবে, ভালো হবে। আদপে অযোধ্যার মানুষ মোহান্ত জ্ঞানদাস এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিজেপি প্রতিবারই ইলেকশনের সময় রামকে নিয়ে রাজনীতি করে। ভগবান রামকে তাঁরা পোলিং এজেন্ট বানিয়ে দেয়। আমি নিশ্চয় রাম মন্দির চাই। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে তবেই সেটা হবে।
এলাহাবাদের যে কুম্ভ হচ্ছে সেটা রাজনৈতিক পূর্ণ কুম্ভ হলেও আদতে সেটা অর্ধ কুম্ভ। এলাহাবাদ হোক বা নাসিক যেখানেই কুম্ভ মেলা হোক, সেখানে ট্রেনে বা বাসে চড়ে মানুষ যেতে পারেন কিন্তু আমাদের এখানে গঙ্গাসাগরে জল পেরিয়ে স্টিমারের মাধ্যমে মানুষকে আসতে হয়। তা সত্ত্বেও প্রায় ২০-৩০ লক্ষ মানুষের সমারোহ হয় এই গঙ্গাসাগর মেলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই এলাকার যা উন্নতি করেছেন তা অভূতপূর্ব।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন আমরা গঙ্গাসাগর মেলার আগে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। কপিল মুনির আশ্রমে এসে মোহান্ত জ্ঞানদাসের সঙ্গেও কথা হলো। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি বক্তব্যেই ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। মমতা বলেন, মোহান্তর ইচ্ছানুসারেই এখানে সম্প্রীতি গেট, সংহতি গেট করে দিয়েছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন স্বামী বিবেকানন্দ যে ধর্ম প্রচার করেছিলেন, সেটাই আসল ধর্ম। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, ইসাহি সবাই একসঙ্গে চলার নামই হল ভারত। দুজনেই বলেন, মনুষ্য জীবনই সবচেয়ে বড় ধর্ম। মানবতাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
দেখুন ছবি-
Be the first to comment