টালাপার্কে যুবক খুনে নয়া মোড়, পুরানো শত্রুতার জেরেই খুন

Spread the love

টালাপার্কে যুবক খুনে নয়া মোড়। ত্রিকোণ প্রেম নয়, পুরানো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে পুলিস সূত্রের খবর। ঘটনায় বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে তিনজনকে। বড়দিনের সকালেই টালাপার্কে শেখ আবদুল আব্বাসের রক্তাক্ত হাত, পা বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে প্রথমে মৃতের তিন বন্ধু চুন্নু ওরফে কালাম, সুনীল ও প্রশানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের থেকেই ঘটনায় চুন্নুর স্ত্রী নাসিমা বিবির জড়িত থাকার সূত্র পেয়ে তাকেও আটক করা হয়। উঠে আসে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব।

বড়দিনের সন্ধেয় বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে বেরিয়েছিলেন শেখ আবদুল আব্বাস। মঙ্গলবার সকালে টালাপার্কের পুলিস কোয়ার্টার সংলগ্ন একটি নর্দমায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় পাপ্পুর দেহ ভাসতে দেখা যায়। বছর ৩৫-এর আবদুলকে এলাকায় সকলে চেনেন পাপ্পু নামেই। একজন ভালো ফুটবলার হিসেবে বেশ পরিচিত তিনি। খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান টালাপার্ক ও লালবাজার হোমিসাইড বিভাগের পুলিস কর্তারা।

নর্দমার পাশ থেকে রক্তমাখা একটি গ্রানাইট পাথর ও বেশ কিছু মদের বোতল উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে যান উত্তর কলকাতার ডিসি দেবাশিস সরকার ও পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক টিম। আনা হয় ডগ স্কোয়াডও। খুনের প্রাথমিক তদন্তে জোরাল হয় ত্রিকোণ প্রেমের সম্ভাবনা। কিন্তু তদন্ত যত এগোয় জেরার মুখে ভেঙে পড়ে চুন্নু।

মঙ্গলবার, রাতেই তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। সেখানেই সে জানায় প্রথমে বাঁশ দিয়ে আব্বাসকে মারে। পরে ইট দিয়ে মুখ থেঁতলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ফিরে গিয়ে দেহ ঘটনাস্থল থেকে দেহ নিয়ে কাছের একটি নালায় ফেলে দেয় কালাম। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে স্বীকার করেছে সে। এরপরেই কালাম ওরফে চুন্নুকে গ্রেফতার করে পুলিস। আটক বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*