পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর জোট সঙ্গীদের নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছে বিজেপি। একাধিক রাজ্যে বিজেপির জোট শরিকরা বেশি সংখ্যক আসন এবং ‘সম্মান’ চাইছেন। সেটা বিজেপিকে চাপে রেখেছে। আর তাই তারা যে বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তার ইঙ্গিত দিলেন রাম মাধব। বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানালেন নতুন সঙ্গীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ জোট রাজনীতি মানেই সমঝোতা করে চলা। বিজেপি সেটা করতে রাজি। এটা ঠিক যে উপেন্দ্র কুশওয়ার দলের মতো ছোট শরিক আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। এ জন্য আমরা নতুন সঙ্গীর সন্ধান করছি। বিশেষ করে পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতে নতুন জোট সঙ্গীর খোঁজ করছি আমরা।’
মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তিন সঙ্গীকে হারিয়েছে বিজেপি। গত মার্চ মাসে টিডিপি এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়ে। এর কয়েক মাসের মধ্যেই কাশ্মীরে মেহেবুবা মুফতির সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে বিজেপি। আর মাত্র দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির নেতা উপেন্দ্র কুশওয়া এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুধু তাই নয় প্রস্তাবিত বিজেপি বিরোধী জোটে নাম লেখানোর কথাও ভাবছেন মোদী মন্ত্রিসভার এই প্রাক্তন সদস্য। এই তিনটি দল এনডিএ ছাড়লেও রামবিলাস পাসোয়ান এখনও জোটে আছেন। বিহারে লোকসভা নির্বাচনে আসন বন্টন নিয়ে সংঘাত দেখা দেয়। মাঝে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যা দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল এবার হয়ত জোট ছাড়বেন রামবিলাস। কিন্তু তা হয়নি। বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৬টি পাসোয়ানের দল এলজেপিকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আর তখনই জোটে থেকে যান পাসোয়ান।
বিহারের সমস্যা মিটতে না মিটতেই গোলমাল দেখা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। আপনা দল জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করা পর্যন্ত সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করবে। এমতাবস্থায় নতুন জোট সঙ্গী খুঁজলেও বিজেপি কোন দলের কথা ভাবছে তা জানাননি রাম মাধব। কিন্তু কয়েকটি দলের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে বিজেপির সঙ্গে যাবে। একই ভাবে শোনা গিয়েছে রজনীকান্তের দলের নামও।
তাছাড়া ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়কও বিজেপির নজরে আছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Be the first to comment