পিয়ালি আচার্য,
ক্রপ ইন্সিওরেন্স বা শস্য বিমার ক্ষেত্রে কেন্দ্র দেয় ২০ শতাংশ, আমরা দিই ৮০ শতাংশ নামখানার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন এব্যাপারে কেন্দ্রকে দালালি করতে দেবো না। আমরা টাকা দেবো আর কেন্দ্র বিজ্ঞাপন দেবে এটা তাদের প্রজেক্ট বলে চালিয়ে দেবে এটা কোনওমতে হতে দেবো না। যেসব প্রকল্পগুলিতে রাজ্য বেশি টাকা দেয় সেগুলোয় রাজ্যের নামে প্রচার করতে নির্দেশ দেন তিনি। যেমন বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা সড়ক যোজনা ইত্যাদি। শস্য বিমার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সব টাকা ফেরৎ দিয়ে দিন আমরাই পুরোটা দিতে পারবো।
ইন্সিওরেন্স কোম্পানি ফসল বিমা যোজনার নামে মিথ্যা প্রচার করছে। দিল্লি দালালি করছে। এটা করতে দেবো না। এনাফ ইস এনাফ। প্রয়োজনে কৃষকদের টাকা সরাসরি দিয়ে দাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন টাকা দিচ্ছি আমরা আর ছবি লাগাচ্ছে ওরা? এটা বাংলা, এখানে দালালি করতে দেবো না। এখানে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে প্রচার করার রাজনীতি করলে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখবো না। একইরকমভাবে পোর্টাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কংকারেন্স লিস্টে আছে বলে ফেডেরাল স্ট্রাকচারকে আঘাত করছে। রাজ্য সরকার অবশ্যই নিজেদের পোর্টাল নিজেরাই মেন্টেন করবে। এরকম কখনও হয়নি ভারতের বুকে যে কেন্দ্রীয় সরকার পোর্টালে নিজেদের প্রচার করবে।
পাশাপাশি ধানের সহায়ক মূল্যের ব্যাপারে নতুন একটি প্রকল্পের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ধান দিন চেক নিন’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফড়ে বা মিডলম্যানরা যাতে কৃষকদের ঠকাতে না পারে সেই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ৫ তারিখ থেকে চেকে পেমেন্ট করে দেওয়া হবে। অতএব তারা সরাসরি টাকা পাবেন। পূর্ব ঘোষণা মতো ১৭৫০ টাকা পার কুইন্টাল পাবেন কৃষকরা কিন্তু সরকারি কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে তা বেড়ে ১৭৭০ টাকা হবে। এর পাশাপাশি জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশকে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে জয়নগর থানার ওসিকে তিনি দাঁড় করিয়ে বলেন, আপনার ওখানে সম্প্রতি খুন হয়েছে। আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারেননি কেন? ওসি বলেন ঘটনায় দোষী সন্দেহে ১৫ জনকে আরেস্ট করা হয়েছে, ৫ জন বাকি আছে।
প্রশাসক মমতা দৃঢ়ভাবে বলেন খুনিদের কোনোভাবেই ছাড়া যাবে না, সে যে দলেরই হোক না কেন। কুলপি থানার ওসির সঙ্গে এক বিধায়কের মতান্তর প্রশাসনিক সভায় সামনে আসে। তিনি দুপক্ষেরই মতামত শুনে এসপি তথাগত বসুকে বলেন উভয়পক্ষকে মিটিংয়ে বসিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য। ১০০ দিনের কাজে এই জেলা খুব ভালো করেছে বলে প্রশংসা যেমন করেন তেমনই এই জেলার ভাঙড়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এখনও কেন শেষ হয়নি সেবিষয়ে আমলা আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন এবং দ্রুত শেষ করার জন্য বলেন।
দেখুন ভিডিও-
Be the first to comment