মধ্যপ্রদেশে সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির এক প্রার্থী। তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব বললেন, আমাদের বিধায়ককে মন্ত্রী না করার জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ। এভাবে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের রাস্তা পরিষ্কার করে দিল।
আপাতত মনে হচ্ছে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপির। কিন্তু এর মধ্যে অন্য একটি সম্ভাবনাও দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির এই ঝগড়া পুরোটাই গড়াপেটা হতে পারে। হয়তো ভোটের ঠিক আগেই বিজেপিকে চমকে দিয়ে অখিলেশ-মায়াবতীর সঙ্গে জোটে শামিল হবে কংগ্রেস।
আর একটি সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যে ফুলপুর, কাইরানা ও গোরক্ষপুরের ভোটে একা লড়াই করেছে। দেখা যাচ্ছে, উচ্চবর্ণের ভোটের এক বড় অংশ গিয়েছে তাদের পক্ষে। কিন্তু তারা যদি অখিলেশদের সঙ্গে জোট বাঁধে তাহলে সেই ভোট যাবে বিজেপির দিকে। গৈরিক ব্রিগেডের পক্ষে মেরুকরণে সুবিধা হবে।
অখিলেশ আপাতত ইঙ্গিত দিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে যেমন কংগ্রেস সমাজবাদী পার্টির বিধায়ককে মন্ত্রী করেনি, তেমন উত্তরপ্রদেশেও কংগ্রেসকে বাদ দেওয়া হবে। একটি মহল থেকে অবশ্য আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জোট গড়ার কথা ভাবছেন অখিলেশ ও দলিতনেত্রী মায়াবতী।
২৩০ আসনবিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস একা পেয়েছে ১১৪ টি আসন। শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস এখন রাজ্যে বৃহত্তম দল। কিন্তু বিএসপি এবং সমাজবাদী পার্টির সমর্থন না পেলে তাদের পক্ষে সরকার গড়া সম্ভব হত না। দুই দলই একটি করে আসন পেয়েছে। কিন্তু কমলনাথের মন্ত্রিসভায় তাঁদের কেউ স্থান পাননি। এর পরে সংবাদ মাধ্যমকে অখিলেশ বলেন, আগামী দিনে সব সম্ভাবনাই খোলা থাকবে। কে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে হাত মেলাবে, কে মেলাবে না, সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ভোটের আগেই।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও কংগ্রেস ও বিজেপিকে বাদ দিয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অখিলেশ। তিনি বলেছেন, চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তবে এখন নয়। আগামী দিনে নিজে তেলেঙ্গানায় গিয়ে দেখা করবেন চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরপ্রদেশে মহাজোট থেকে বাদ পড়তে চলেছে কংগ্রেস। রাজ্যে গত ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিশেষ লাভ হয়নি সমাজবাদী পার্টির।
Be the first to comment