মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। বাদ গেলো না কলকাতা সহ শহরতলিও। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বনধ সমর্থকেরা দু’টি সরকারি বাসে ঢিল ছোড়ে। যাদবপুর এবং গড়িয়া রথতলা অঞ্চলের বাস দু’টির কাচ ভেঙে গেছে বলে খবর।
যাদবপুরে সকাল থেকেই রেল অবরোধ চলেছে ৷ ৮-বি বাসস্ট্যান্ডে অবরোধকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয় বলেও খবর ৷ দফায় দফায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে পুলিশের বচসার জেরে পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷
ডায়মন্ড হারবারের নেতড়ায় রেল অবরোধ হয় ৷ শিয়ালদহ দঃ শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল ৷ এছাড়া কলেজ স্ট্রিট-সহ বেশ কিছু জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ জারি রাখার চেষ্টা করেছেন বনধ সমর্থকেরা। হাওড়া পরবর্তী গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত কলকারখানা। দমদম মতিঝিলে সিপিএম তৃণমূল সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েক জন।
দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও বনধের খবর আসছে। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে জড়ো হন প্রায় ২৫ হাজার বনধ সমর্থক। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের ৩৫টি জেলায় দফায় দফায় চলে একই ধরনের সমাবেশ। তবে বনধের জেরে জনজীবন ব্যাহত করার কোনও রকম চেষ্টা হলে দ্রুত তা কড়া হাতে দমনের নির্দেশ আছে পুলিশের উপরেও।
লালবাজার সূত্রের খবর, এদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে তিন হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে রাস্তায়। টহলদারির তত্ত্বাবধানে থাকবেন কুড়ি জন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার।
Be the first to comment