দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব-সহ গোটা দেশেই প্রযোজ্য হবে সিটিজেনশিপ বিল বা নাগরিকত্ব বিল ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন একথাই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন রাজনাথ সিং ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় হইচই ৷ ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ৷ লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস ৷ সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসও ৷
আর তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ প্রদর্শনেই দেখা গেলো এক অভিনব ঘটনা। লাইন দিয়ে বসে আছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, মমতাবালা ঠাকুররা। দোলা সেনের স্লোগানে গলা মেলাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু পিছন থেকে শতাব্দী, অপরূপা পোদ্দারদের লাঠি নিয়ে মারতে আসছেন ‘মোদী’। না, সত্যি মোদী নন। প্রতীকী মোদী। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন মুখে মোদীর মুখোশ লাগিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন।
এ দিনও সংসদে ওই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ধর্না কর্মসূচি নেয় বাংলার শাসক দল। সেখানেই মোদীর মুখোশ পরে তৃণমূল আসলে বোঝাতে চাইল, কী ভাবে মোদী সরকার গোটা দেশে গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আঘাত আনছে। সিটিজেনস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বাতিলের দাবিতে এ দিন ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের বক্তব্য, এই বিল সমাজে আরও বিভাজন তৈরি করবে।
Be the first to comment