নিজস্ব প্রতিবেদনঃ চার দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে জড়িযে ছিলেন রীতা কযরাল. নেগেটিভ চরিত্র কেরেছেন বেশিরভাগটাই, কিন্তু তার মতো করে কজনই বা পারতেন. সেই রীতা কযরালের শেষযাত্রাটা হল নিতান্তই অবহেলায়।শ্মশানে দেখা গেলো গুটিকযেক পরিচিত মুখ, বাকিরা কোথায সদুত্তর দিতে পারলেন না কেউই। ফেসবুকে এই ঘটনা নিযে ক্ষোভ উগরে দিলেন রীতার একসমযের সহকর্মী চৈতালী দাশগুপ্ত। ফেসবুকের লেখার প্রতিটি লাইনে ক্ষোভ বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে। চৈতালী লিখেছেন, রীতার শেষযাত্রায় যাওয়ার থেকে হযতো রবিবারের ভাতঘুমটা বেশি প্রয়োজন হয়ে উঠেছিল। চৈতালী দাশগুপ্ত, তার স্বামী রাজা দাশগুপ্ত এবং আর কয়েকজন ছাড়া কেউই উপস্থিত ছিলেন না। রবিবার সকালে মৃত্যুর পর রীতা কয়রালের মৃতদেহ দাসানি স্টুডিওতে নিয়ে যাওযা হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাখী বন্ধন সিরয়ালের কুশীলবরা। তারপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিযে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে অবাক করার মতো বিষয রীতা কয়রালের মৃত্যুর পর বেশিরভাগ অভিনেতা যারা একসময় তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা জানিয়েছেন, রীতার যে ক্যান্সার হয়েছে কেউ জানতেনই না। কেউ টেরই পানিন। অথচ অভিনেত্রীর ঘনিষ্ট মানুষরা জানিয়েছেন, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রীতা বসতে পারতেন না, প্রচন্ড যন্ত্রনায় ছটফট করেতন। শুটিংয়ে গিয়েও বেশিরভাগ সময শুয়ে থাকতেন বা দাঁড়িযে থাকতেন। সেই তিনিই আবার শট দেওয়ার সময দারুন পেশাদার। কিন্তু চৈতালী যে প্রশ্নটা তুলেছেন তা কিন্তু সকলেকেই ভাবাচ্ছে। একসময়ের দাপুটে বলিষ্ট অভিনেত্রীর কি এতটা অবহেলা প্রাপ্য ছিল।
Be the first to comment