মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আগামীর প্রধানমন্ত্রী, কুলগাছিয়ার জনসভায় বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি আরও বলেন, এই ব্রিগেড সমাবেশে শুধুমাত্র হাওড়া জেলা বা অন্য জেলার নেতৃবৃন্দ নয় শুধুমাত্র রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নয়, শুধুমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায় নয়, আজকে আমাদের নেত্রী দশ কোটি মানুষের নয়নের মণি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমগ্র ভারতবর্ষের ১৩০ কোটি মানুষের আগামীদিনের মুক্তিসূর্য এবং দেশনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে আজকে আমরা যেমন পৌছাবো দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুখ্যমন্ত্রীর এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তশালী করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হবে।
ভারতীয় জনতা পার্টি একদিকে কুৎসা করছে, মিথ্যাচার করছে আরেকদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে মানুষের সমাগম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। এই ব্রিগেড চলোর সমাবেশে যেমন আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসবেন, আবার সমাজবাদী পার্টির উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদবেরা আসবেন। এই ব্রিগেড চলোর সমাবেশে যশবন্ত সিনহা আসবেন, শত্রুগণ সিনহা আসবেন, মহারাষ্ট্রের এন সি পি র শরদ পাওয়ার আসবেন, সুদূর জন্মু কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা আসবেন, তেমনি এই সমাবেশে তেজস্বী যাদব আসবেন, রাম জেঠ মালানি আসবেন, শরদ যাদব আসবেন, এবং তামিলনাড়ুর ডিএমকের এমকে স্ট্যালিনও আসবেন। তারা হাজির হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হবেন। আমাদের নেত্রী ডাক দিয়েছে ৪২ শে ৪২। ২১শে জুলাই ধর্মতলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪২ শে ৪২ এর ডাক দিয়েছেন।
আমরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আন্দোলন সংগ্রাম সম্পর্কে জানি। সেই নেতাজি বলেছিলেন “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”। ভারতীয় জনতা পার্টির সাম্প্রদায়িক অসুরেরা বলছে “তোমরা আমাকে গদি দাও, আমি তোমাদের রক্তস্নাত নদী দেব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন “হে বাংলার বীরযোদ্ধা মা-মাটি-মানুষ তুমি আমাকে ৪২-এ ৪২ দাও, আমি তোমাকে আগামীদিন দিল্লীর বুকে এক শান্তিপ্রিয়, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষ দেব”। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীদিন দেশ পরিচালনা করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত বছর ধরে রাজ্যে সরকার চালাচ্ছেন গরীব, খেটে-খাওয়া, শ্রমিক, কৃষকের উপর এক পয়সা বাড়তি কর চাপাননি। আর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে বলেছিল, আচ্ছে দিন আসবে, বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি হবে, সবাই ১৫ লক্ষ টাকা করে পাবে। কাঁচকলা, লবডঙ্কা দিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমাদের বাংলাকে অনেকদিন ধরে সিপিএম আমলে আপনারা নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত বিতাড়িত, অত্যাচারিত করে রেখেছিলেন। কিন্তু বাংলায় যতদিন আমি আছি, আমার সাথে দশ কোটি মা, ভাইবোনেরা আছে; বাংলাকে কেউ অসম্মানিত করতে পারবে না।’’ কেন্দ্রের সরকার ২০ শতাংশ টাকা দেবে ফসল বীমা যোজনায় আর ৮০ শতাংশ টাকা দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর বলছে ওনার নামে প্রকল্প করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ৫০ শতাংশ টাকা দেবে আমাদের সরকার আর ৫০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বলছে এই প্রকল্পটা কেন্দ্র আর নরেন্দ্র মোদীর নামে করতে হবে। আমরা বলেছি লবডঙ্কা, তোমাদের টাকাও লাগবে না, তোমাদের নামও আমরা দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার টাকা দেবে, তাই বাংলার নামে হবে।
Be the first to comment