আজকে আমরা মূলত সমবেত হয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকনির্দেশিকা নেব, আগামী ১৯শে জানুয়ারি কলকাতার রাজপথে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এবং বলার অপেক্ষা রাখে না, যে সংখ্যায় মানুষ আমাদের মাঠে রয়েছে তার থেকে চার থেকে পাঁচগুণ মানুষ রাস্তায় রয়েছে এবং তারা হয়ত জায়গা দিতে পারেনি মাঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের এটাই বৈশিষ্ট কারণ আমরা যখন একটা সভা ডাকি সেটা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আর বিরোধীরা যখন জনসভা ডাকে সেটা পথসভায় পরিণত হয়। মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমেই তৃণমূল কংগ্রেস আজকে বটবৃক্ষে পরিণত হয়ে হিমালয়ের উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এই দলটাই মানুষের দল। আমি মনে করি, কুলগাছিয়া ময়দানে আজকে মিনি ব্রিগেডে পরিণত করেছি। অন্য কোনও জেলার প্রয়োজন হবে না। হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া সদর একাই আগামীদিনে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড কলকতার বুকে ভরিয়ে দেবে- এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
এই ব্রিগেড সমাবেশের আলাদা যথার্থতা, বৈশিষ্টতা এবং প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যে শেষ ব্রিগেডটি রেখেছিল ২০১৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি সেখানে আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয়া নেত্রী বলেছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস, সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও অপদার্থ সিপিএমের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করে বাংলার সম্মান, বাংলার কৃষ্টি-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি আমরা দিল্লীর বুক থেকে আগামীদিন ছিনিয়ে নিয়ে আসব। ফলস্বরূপ আমরা দেখেছিলাম ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আশীর্বাদধন্য ও স্নেহধন্য প্রার্থীরা জয়যুক্ত হয়েছিল, জয়লাভ করেছিল।
Be the first to comment