দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীকে স্বাগত জানাতে তৈরি প্রয়াগরাজ ৷ চারিদিকে এখন সাজো সাজো রব ৷ কুম্ভমেলাকে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ইভেন্ট করে তুলতে চেষ্টার কোনও ক্রুটি রাখছে না যোগী সরকার ৷ ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ৫৫ দিন ধরে ৷ তবে শুধু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই নয়, বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন ভিড় জমাবেন গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী অর্থাৎ তিন নদীর মিলনস্থলে। আর তাই সবার কথা ভেবেই বিভিন্ন দেশের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কুম্ভের একটি জায়গায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের স্টল। যে স্টলগুলিতে থাকবে নানারকমের খাবার। থাকবে বিভিন্ন রাজ্যের স্পেশ্যাল পদও।
অন্যদিকে কুম্ভকে সামনে রেখে এলাহাবাদের পর্যটন ব্যবস্থাকে তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সেজন্যই বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা শহরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সুন্দর ভাবে। কুম্ভে থাকার জন্যে বিশেষ তাঁবু খাটিয়েছে সেখানকার পর্যটন দফতর। সেই সমস্ত তাবুতে থাকছে বিলাসবহুল ব্যবস্থা। তৈরি হয়েছে ফুড হাবও। যেখানে ভারতের ১৬টি রাজ্যের এলাহি খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। থাকছে একাধিক পদও। এই কুম্ভমেলার আয়োজনে যোগী সরকার ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে ৷ ৩২০০ হেক্টর জমির উপর হচ্ছে মেলা ৷ ১ লক্ষ ২২ হাজার টয়লেট তৈরি করা হয়েছে ৷
এদিকে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। মেলায় আসা লক্ষ লক্ষ মানুষের নিরাপত্তায় রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার হাত বাড়িয়েছে ভারতীয় নৌসেনাও। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে পৌঁছেছে তাদের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ (SAR) টিম। আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে তারাও। প্রতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আসেন গঙ্গাসাগর মেলায়। এবছরও তার অন্যথা হবে না।
উল্লেখ্য, একাধিক রাজ্য থেকে পূণ্যার্থীরা মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে আসেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য স্নান করে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেওয়া। থাকেন সাধু-সন্তরাও। কথিত আছে এই পূণ্যতীর্থে মকর সংক্রান্তির লগ্নে স্নান করলে ধুয়ে যায় সব পাপ। আর তাই বলা হয়, সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার। তবে শুধু দেশ নয় বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান থেকেও অনেকে এখানে আসেন। যে কোনও দুর্ঘটনা এড়াতেই রাজ্য সরকারের তরফে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। নৌসেনা সূত্রে খবর, বিপর্যয় মোকাবিলায় বেশ কয়েকজন জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। তেমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তাঁরা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন।
Be the first to comment