সম্প্রতি বেলেঘাটায় ঘটে যাওয়া রাহাজানির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিনারার বিবরণ এখানে পোস্ট করেছি আমরা। যেখানে ভরদুপুরে ঢুকে দশ বছরের একটি বাচ্চা মেয়েকে বেঁধে লক্ষাধিক টাকার গয়না এবং সাড়ে চার হাজার টাকা নিয়ে পালায় এক দুষ্কৃতী। মেয়েটির বাবা তখন কাজে বাইরে, মা রান্না করছিলেন চিলেকোঠার ঘরে।
দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি আমাদের প্রভূত সাহায্য করে বাচ্চা মেয়েটির, হরিয়ানা বিদ্যামন্দিরের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুষমা দাসের, বর্ণনা। বিপদের মুখে সুষমা শুধু যে মাথা ঠান্ডা রেখেছিল, তা-ই নয়, হুবহু মনে রেখেছিল দুষ্কৃতীর চেহারার বিবরণ।
পুলিশকে বলেছিল, অভিযুক্ত কেমন দেখতে, কী পরেছিল। কমলা শার্ট, ফেডেড নীল জিনস, লাল জুতো, মাথায় রুমাল বাঁধা…সব বলেছিল নিখুঁত। অভিযুক্তের ছবি আঁকায় খুবই সাহায্য করেছিল সুষমার বয়ান। সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া ছবির সঙ্গে অবিকল মিলে গিয়েছিল ক্লাস ফোরের ছাত্রীর বর্ণনা।
সাহসিকতা এবং উপস্থিত বুদ্ধির জন্য আজ বিকেলে নগরপাল পুরস্কার দিলেন ছোট্ট সুষমাকে,লালবাজারে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে।
বড় হয়ে কী হতে চাও?
সপ্রতিভ উত্তর সুষমার, “আই পি এস অফিসার”।
অনেক শুভেচ্ছা রইল সুষমার আগামীর জন্য।
ছবি এবং তথ্য কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment