অবশেষে সত্যি হলো ইভিএম ঘিরে বিরোধীদের আনা অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় টুইট করে ইভিএম নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই চার সদস্যের একটি দলও গঠিত হয়েছে ৷ সেই দলে রয়েছেন সতীশ মিশ্র, অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অভিষেক মনু সিংভি ৷ আর সোমবার সেই অভিযোগকে সত্যি করেই এবার জানা গেলো হ্যাক করা সম্ভব ইভিএম। আর ২০১৪ সালে ইভিএম হ্যাক করেই বিপুল ব্যাবধানে জিতেছিলো বিজেপি। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বেতার তরঙ্গ বিশেষজ্ঞ সইদ সুজা। তাঁর দাবি, ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে ইভিএম হ্যাক করা যায়। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের বিধানসভা ভোটেও ইভিএম হ্যাক করা হয় বলেও এদিন দাবি জানান সুজা।
আর সরকারের এইসব কুকীর্তির কথা জেনে ফেলা এবং জনসমক্ষে তা ফাঁস হওয়ার ভয়েই খুন করা হয় বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডে ও সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে। সোমবার লন্ডনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তিনি দেখান কীভাবে ইভিএম হ্যাক করা যায়। পাশাপাশি সুজা আরও দাবি করেন, দিল্লি বিধানসভা ভোটেও বিজেপির আইটি সেল ট্রানসমিটার বসিয়ে ইভিএমে কারচুপি করছিল। কিন্তু, সেই ট্রানসমিটারটি সুজার সঙ্গীরা হ্যাক করেন। যার জেরেই ভোটের ফল আম আদমি পার্টির পক্ষে যায়।
ইভিএম-এর নির্মাতা সংস্থা ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় কাজ করার সুবাদে ইভিএম হ্যাক করার সমস্ত কৌশল তাঁর জানা। এমনটাই জানিয়েছেন সুজা। তবে সুজার সব অভিযোগই খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সুজার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
Be the first to comment