ইন্দিরা ইজ ব্যাক

Spread the love

দহন করনে মোদী কি লঙ্কা,আ গয়ে রাহুল অউর প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়ঙ্কা নহি ইএ আঁধি হ্যায়, ভারত কি দুসরি ইন্দিরা গাঁধি হ্যায়। হ্যাঁ, অবশেষে তিনি এ লেন। তাঁর ভক্তদের ভাষায় “Indira is back”.প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা – সোনিয়া রাজীব তনয়া এই নাম সবসময়ই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।

রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে ছিলেন না। কিন্তু কন্ট্রোল রুম বা ব্যাক অফিসের দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। সাইকোলজির স্নাতক প্রিয়াঙ্কা এতদিন পরিবারের মধ্যে তাঁর রাজনীতি কে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু ঠিক সময় দেশের মানুষের মনের কথা বুঝতে পেরে সায় দিলেন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে।

অপূর্ব সুন্দরী ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের জন্য তাঁর ফ্যান অনেকেই। এমনকি রাহুল এর থেকেও তাঁকে অনেকে চান দেশের নেতৃত্ব দিতে। দলের ভিতরে বাইরে এরকম অনুরাগীর সংখ্যা গুনে শেষ করা যায় না। কিন্তু ব্যক্তি প্রিয়াঙ্কার বিশেষত্ব এই যে তাঁকে ঘিরে এই উন্মাদনায় মাথা ঘুরে যায়নি তাঁর।

১৯৯৭ সালে দিল্লির ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরার সঙ্গে বিয়ে হয়। তারপর দুটি সন্তান হয়। একজন আদর্শ মা হিসেবে পুত্র রাইহান এবং কন্যা মিরায়া কে বড় করার কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। পাশাপাশি তিনি যে একজন আদর্শ কন্যা এবং আদর্শ বোন তার পরিচয় বারবার মেলে।
২৩ জানুয়ারি এ.আই.সি.সি প্রিয়াঙ্কা কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে।তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এরজন্য দাদা তথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি কে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রিয়াঙ্কা এখন আমেরিকায়। সেটাও সন্তানদের কারণে। তাঁর রাজনীতির ময়দানে প্রবেশের ব্লু প্রিন্ট ও তৈরী হয় আমেরিকায় বসেই। রাহুল বোন প্রিয়াঙ্কা কে দলে সরাসরি যোগ দিতে বলেন। তাঁর নেতৃত্ব দানের ফলে উত্তরপ্রদেশ তথা সারাদেশে কংগ্রেস বাড়তি অক্সিজেন পাবে। বোন যে অত্যন্ত যোগ্য সেকথা সাংবাদিকদের সামনে অকপটে স্বীকার করেন রাহুল।

প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা স্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন জীবনের সব রকম পরিস্থিতি তে আমি তোমার পাশে থাকব।এই কাজে তোমার সাফল্য কামনা করি।
মা সোনিয়া র অনুমতি সাপেক্ষে যে তিনি রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করছেন তা বলাই বাহুল্য।

এখন প্রশ্ন হলো আগে আমেথি, রায়বরেলিতে বাজতো ডঙ্কা- যখন সেখানে আসতো বেটি প্রিয়াঙ্কা। যথাক্রমে দাদা ও মা এর নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো তাঁর রাজনীতি।এর বাইরে তিনি আগ্রহ ও দেখাননি।

কিন্তু এবারে পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন।৮০ আসন অর্থাৎ দেশের সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন যে রাজ্যে, সেই উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে তিনি। পূবে তিনি পশ্চিমে জ্যোতিরাদিত্য। এই যুগলবন্দী উত্তরপ্রদেশ এ মোদীর ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে।
২০১৯ এর লোকসভা ভোটে মোদী তথা বিজেপিকে হঠাতে বিরোধীরা রামধনু জোট করেছে।কংগ্রেস সম্প্রতি হয়ে যাওয়া৫ রাজ্যের মধ্যে ৩ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করে সুবিধাজনক অবস্থায়।এই অবস্থায় আস্তিন থেকে বেরোল তুরুপের তাস। মোদীকে হারাতে মরিয়া কংগ্রেস তার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করলো।

প্রিয়াঙ্কার জন্ম ১২ জানুয়ারি, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে।বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশুনা,কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পেলেন নেতাজীর জন্মদিনে।
শুধু তাঁর ভুবন ভোলানো হাসি নয়, শুধু নয় অপূর্ব সৌন্দর্য, ঠাকুমা ইন্দিরা র মতো দেশনেত্রী,এই হোক তাঁর পরিচয়।” ইন্দিরা ইজ ব্যাক ” এই শ্লোগান সার্থক হোক। দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ এর জন্মদিনে জন্ম হোক এক প্রকৃত দেশনেত্রীর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*