বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলো অরুণাচল প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ৷ তবে সেই সময় সেখানে ছিলেন না উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন ৷ শুধু উপ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই নয়, বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালিয়েছে জেলার কমিশনারের বাড়িতেও ৷ আহত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক অফিসারও ৷ নতুন করে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত স্থায়ী বাসিন্দাদের শংসাপত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৷ রাজ্য সরকার অরুণাচলের ছয় সম্প্রদায়কে স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র দেওয়ার কথা জানায় ৷ সরকার নিযুক্ত প্যানেল এই মর্মে সুবিধাভোগীদের তালিকাও প্রকাশ করে ৷ এই প্রকাশিত তালিকারই বিরোধীতায় অন্যান্য সম্প্রদায় ৷ তাদের দাবি, কেন ওই ৬ ’সম্প্রদায় ছাড়া অন্যান্যরা স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র পাবে না?
বিক্ষোভকারীরা শহরের নানা জায়গায় ৫০টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ১০০টি গাড়িচে ভাঙচুর চালায়। অল অরুণাচল প্রদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা আপসু এবং অল নাইশি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের দপ্তর পোড়ানো হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ তারা সরকারি প্যানেলের সুপারিশকে সমর্থন করেছে। এদিকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন করেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা মানুষের বিভ্রান্তি। তারা মনে করছে যে সরকার বোধহয় এমন একটি বিল আনছে যা একাংশকে পিআরসি দিতে পারে। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলছি এ রকম কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা শুধু বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় বৃহত্তর আলোচনা হোক এমনটা চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব না।
Be the first to comment