ছবি- শুভেন্দু দাস
‘হাম সব দিল সে হোলি খেলতে হ্যায়’। তবে পুলওয়ামায় জওয়ানরা মারা গিয়েছেন বলে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিস্বরূপ আমি এখানে হোলি খেলবো না। বাস্তবিক এই জওয়ানদের স্মরণে বাইরে হোলি না খেলে যদি কারও মনে হয় বাড়িতে হোলি খেলতে পারেন। ইনফরমেশন থাকা সত্ত্বেও কেন জওয়ানদের রক্তে রাঙা হলো দেশের মাটি? আমি এই নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না কিন্তু জওয়ানদের পরিবার পরিজনদের পাশে আছি। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে ইন্টারন্যাশনাল মাড়োয়ারি ফেডারেশনের উদ্যোগে একটি হোলি উৎসবে উপস্থিত হয়ে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলি খুন সে হোলি নেহি, দিল সে হোলি খেলনা চাহিয়ে’। দিল্লি থেকে বলে এখানে নাকি দুর্গাপুজো হয়না। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, ছটপুজো, নবরাত্রি, বুদ্ধপূর্ণিমা সবকিছুই এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়। দক্ষিণেশ্বরে আমরা স্কাইওয়াক করে দিয়েছি। গঙ্গাসাগরকে এমন সাজিয়ে দিয়েছি যে আগে লোকে বলতো সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। আর এখন এতো সুযোগসুবিধা হয়েছে যে মানুষ বলে গঙ্গাসাগর বারবার। বেনারস কী এতো সুন্দর হয়েছে? একটা রাম মন্দির বানাতে পারেনি, খালি নির্বাচনে রাম মন্দিরকে ইস্যু করে।
মমতা বলেন, সঞ্জয় বুধিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, কমল গান্ধী এদের সঙ্গে তো আমাদের মাঝে মাঝেই মিটিং হয়। দু’মাস আগেই শিলিগুড়িতে মিটিং হয়েছে, পুরুলিয়ায় গিয়েও আমরা মিটিং করেছি। এদের মধ্যে কেউ কেউ আমার সঙ্গে বিদেশেও যান। অথচ আমার এই এখানে আসাটাকে বলা হচ্ছে ভোটের রাজনীতি? পাঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ আমরা সবাই এক। এটাই আমাদের দেশ আমাদের শিখিয়েছে। আমাদের পিতা মাতারাও এটাই শিখিয়েছেন। আমরাও ছোটোদের এই শিক্ষাই দি। হোলির এই সুন্দর পরিবেশে আমি বলি দেশ সবুজ থাকুক, সুন্দর থাকুক ও শান্তির পরিবেশ বজায় থাকুক। ঐক্যবদ্ধ ভারতের শিক্ষা, সংস্কৃতি সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাক।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক সুব্রত বক্সী, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে কবি সম্পদ সরল কবিতা পাঠ করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী তা শোনেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
দেখুন ভিডিও!
Be the first to comment