আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব; অভিষেক

Spread the love

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে কাস্টমসের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা একথা জানালেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫,১৬ মার্চ রাতে ব্যাংকক থেকে কলকাতা বিমানবন্দর নেমে বেরোনোর সময় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করেন কাস্টমসের অফিসারেরা এই মর্মে ২৩ মার্চ শনিবার একটি অভিযোগপত্র বিমানবন্দর থানায় জমা পড়ে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কাস্টমস অফিসারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবী।

কাস্টমস অফিসারেরা ২২শে মার্চ বিমানবন্দর থানায় ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে উদ্দেশ্য করে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন৷ ঐ পত্রে বলা হয় রুজিলা নারুলা ও মেনকা গম্ভীর নামে দুই মহিলা ১৫,১৬ মার্চে রাতে থাই এয়ারলাইনসের বিমান থেকে নামেন। তাঁরা গ্রীণ চ্যানেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। কাস্টমস অফিসারদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ব্যাগ দেখতে চান। ব্যাগ দিতে অস্বীকার করেন দুই মহিলা বলে অভিযোগ৷ এরপর তাঁরা পুলিশকে ফোন করেন এবং পুলিশ আসতে কাস্টমস অফিসারদের সাথে বাদানুবাদ হয়৷ কাস্টমস অফিসারদের বক্তব্য একটি ব্যাগের মধ্যে সোনা পাওয়া যায়, তাঁরা তাদের অভিযোগপত্রে এও লেখেন যে রুজিরাকে না ছাড়লে কাস্টমস অফিসারদের গ্রেফতার করার হুমকিও দেয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাত ২টোয় ছাড়া পেয়ে বাড়ি যান রুজিরা। ১৫-১৬ মার্চের এই খরবকে ঘিরে বহু গুজব বিভিন্ন সংবাদপত্র, পোর্টাল, ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ছড়ানো হচ্ছে।

২৪শে মার্চ রবিবার রুজিরার স্বামী অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, কাস্টমসের এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। যদি প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভির ফুটেজে দেখাতে পারে যে সোনা আছে তাহলে আমি রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে দেব।

তিনি পাঁচটি প্রশ্ন করেন ১. প্রোফাইল শব্দের সঠিক ব্যাখা কি? ২. সোনা যদি পাওয়াই যায় তবে তা বাজেয়াপ্ত করা হলোনা কেন? ৩. লোকাল পুলিশ যদি কাস্টমস অফিসারদের বাধা দেয় তবে তাঁরা CISF-এর সাহায্য নিলেননা কেন? ৪. এফআইআর করতে ৭ দিন সময় লাগলো? ৫. সিসিটিভির ফুটেজে যদি দেখাতে পারেন অপরাধ তবে আমি চ্যালেঞ্জ করছি আসুন আর আমাকে গ্রেফতার করুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সাংবাদিক সম্মেলন দলের সাথে এর কোনো যোগাযোগ নেই৷ এবং তিনি আরোও বলেন আমরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলি বলে আমাদেরকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমার স্ত্রী এক সাধারণ মহিলা, কন্যা ৫ বছরের এখন আমি ভাবছি বিমানবন্দরে দুজন মহিলাকে কেন এমনভাবে হেনস্থা করা হলো? এবং কাস্টমস অফিসারেরা ৫০০০০ হাজার টাকাও দাবী করে। আমি কোনোদিন বশ্যতা স্বীকার করিনি, মাথা নীচু করিনি তাই আমাদের কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন আমার স্ত্রী হওয়াটা কি ক্রাইম? ওদের হেনস্থা করার সময় একমাত্র একটা লেডি কনস্টেবল গিয়েছিলেন বাকি কেউ যাননি।

আমরা আমাদের উপর এই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে কেস করছি। যদি দুনম্বরি করতাম তাহলে ঘুষ দিতাম কিন্তু সত্যের পথে চলছি কেন ঘুষ দেব? আমার মা-স্ত্রী- কন্যা সাধারণ নাগরিকের মতো চলাফেরা করে, কোনো ভিআইপি স্ট্যাটাস নেয়না৷ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কখনও মাথা নত করেনি আমিও মাথা নত করবনা। সিসিটিভি ফুটেজেই পুরো ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে আমরা কোনে অসাধু কাজ করিনি। বারে বারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি আমার স্ত্রীর উপর করা অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাক। এদিন আমতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসেই এই সাংবাদিক সম্মেলন হয় এবং পিছনে ব্যানার ছিল “চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শীর”।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*