দিল্লির পথে লড়াকু মহুয়া

Spread the love

পিয়ালি আচার্য,

ছবি- প্রশান্ত দাস

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। বিদেশ থেকে পড়াশুনা করেছেন মহুয়া, চাকরিও করেছেন বিদেশে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পরিবারে ছিল রাজনীতি। রক্তে রাজনীতি থাকার কারনেই হোক অথবা নিজস্ব উদ্যমে মহুয়া জড়িয়ে পড়েন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে। আর বাংলায় রাজনীতি করা মানে আদর্শ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রাখার সঠিক সিদ্ধান্ত নেন মহুয়া। তাই প্রথমে কিছুদিন কংগ্রেস করলেও বাংলার উন্নয়নের কান্ডারী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা যখন বোঝেন তখন তৃণমূলে একনিষ্ঠ ভাবে আত্মনিয়োগ করেন।

শিক্ষিতা, স্মার্ট, চটপটে, পরিশ্রমী মহুয়া নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসেন। করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেন মহুয়াকে। জয়ী হন মহুয়া। বিধানসভায় তাঁর বক্তব্য পেশ বহু প্রবীন বিধায়কদেরও প্রশংসা পায়। বিরোধীরা মহুয়ার ইংরেজিতে বক্তব্য রাখা নিয়ে পরিহাস, উপহাস করলে মহুয়া বাংলাতেই বিধানসভায় বক্তব্য পেশ করেন। প্রমাণ করে দেন দুটো ভাষাতেই তাঁর সমান দক্ষতা। আসলে যেকোনো বিষয়ের গভীরে যাওয়া স্বভাব মহুয়ার। তাই সামাজিক বা রাজনৈতিক যে কোনও ইস্যু নিয়েই তাঁকে বলতে বলা হোক না কেন সপ্রতিভ মহুয়া তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্যে নিজের দলের তো বটেই, বিরোধীদেরও প্রশংসা পান।

এহেন মহুয়া কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নদীয়া জেলার ভূমিকন্যাও বটে। মহুয়ার বিপরীতে প্রার্থী বিজেপির কল্যাণ চৌবে। আছেন সিপিআইএমের প্রার্থী শান্তনু ঝা। নগণ্য হলেও আছে অন্য দলের প্রার্থীও। মহুয়ার প্রচার কভার করতে এসে আমরা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলি। বহু আগে এটা সিপিএমের গড় ছিলো। এবারে নাকি বিজেপির হাওয়া, বলেন কতিপয় মানুষ। কিন্তু মহুয়া অলিতে, গলিতে, বাজারে, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রচারের সময় যেরকম সাড়া পাচ্ছেন তাতে এটা বলাই যায় যে, লোকসভার ৫৪৩ জন সদস্যদের একজন হতে চলেছেন মহুয়া। কখনও হুড খোলা জিপে, কখনও পায়ে হেঁটে এগিয়ে চলেছেন লড়াকু মহুয়া। কিছু মানুষের মতে কৃষ্ণনগর আসনে টাফ ফাইট হবে কিন্তু পরিশ্রমী মহুয়ার জনসমর্থন দেখে মনে হলো শেষ হাসি হাসবেন তিনি।

এদিন মহুয়ার প্রচারে যোগ দেন কৃষ্ণনগর দক্ষিনের বিধায়ক (মন্ত্রী) উজ্জ্বল বিশ্বাসও। জেলার সমস্ত নেতাদেরই সঙ্গে নিয়ে চলার পক্ষপাতী মহুয়া। সংগঠন ভালো বোঝেন। মহুয়া এবং উজ্জ্বলবাবু দুজনের মতেই এবারের লোকসভার লড়াই দেশকে বাঁচানোর লড়াই। নেত্রীর স্লোগান ‘২০১৯, বিজেপি ফিনিশ’ বাস্তবে রূপায়িত করতে তাই রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন টিম মমতার সৈনিকেরা।

কৃষ্ণনগরে রোজদিনের যুগ্ম সম্পাদক পিয়ালি আচার্যের মুখোমুখি হন মহুয়া। রোজদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কী বললেন তিনি?

শুনুন!

দেখুন ছবি-

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*