প্রথম দফার ভোটের পরিকল্পনা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিলো নির্বাচন কমিশনের। আর সেই সূত্রেই নেওয়া হলো নতুন পরিকল্পনা। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফার ভোটে ৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত। চেষ্টা চলছে আরও ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার। সেটা সম্ভব হলে প্রথম দফার ভোটে দু’টি আসনের জন্য কাজ করবে মোট ১০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তা হলে প্রায় প্রতিটি পোলিং প্রেমিসেসে চোখে পড়বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি। লোকসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথগুলোতেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। বাকি সব বুথে থাকতে চলেছে রাজ্য পুলিশের অস্ত্রধারী কনস্টেবলরা।
তবে খবর সেরকম থাকলেও ADG (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারসহ বেশ কিছু জেলার পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ভোটের সুরক্ষা ব্যবস্থার প্ল্যান। সেই চিঠির বয়ানে ছিল, এবার লোকসভা ভোটে সুরক্ষার প্রশ্নে প্রাধান্য পাবে রাজ্য পুলিশ। আর এক বা দু’টো বুথ আছে এমন ভোট প্রেমিসেসে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তিন, চার কিংবা পাঁচ বুথ বিশিষ্ট পোলিং প্রেমিসেসে থাকবে শুধু রাজ্য পুলিশ।
তবে বাহিনী মোতায়েনের প্ল্যান নাকচ করে দিয়েছে কমিশন। সেই সূত্রেই কোচবিহারের জন্য আনা হয়েছে নতুন পুলিশ অবজারভার। তারপর নেওয়া হয়েছে নয়া পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার সূত্র ধরেই এখনও পর্যন্ত ৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ওই দুই কেন্দ্রে। যার মধ্যে ৭০ কোম্পানি কাজ করবে বুথ, কুইক রেসপন্স টিম এবং স্ট্রং রুমের পাহারায়। বাকি ৯ কোম্পানি কাজ করবে ভোটারদের আস্থা বাড়ানোয়। তবে কমিশন মনে করছে মোট ২৫৭০টি প্রেমিসেসে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে প্রয়োজন আরও ফোর্স। সেই সূত্রেই অতিরিক্ত ২৫ কোম্পানি বাহিনী আনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ৭৯ কোম্পানি ফোর্সের সঙ্গে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ মিলিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে ভোট সুরক্ষার প্ল্যানিং। যাতে স্পর্শকাতর বুথ তো বটেই, বেশিরভাগ অন্য পোলিং প্রেমিসেসেও থাকবে অন্তত হাফ কম্পানি বাহিনী। চার বা পাঁচ বুথ বিশিষ্ট প্রেমিসেসগুলিতে প্রেমিসেস ভিত্তিক কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে বুথে সশস্ত্র বাহিনী রাখার পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি হবে ২৫ কম্পানি বাহিনী আরও পাওয়া যায় কি না সেটা বুঝে নেওয়ার পর।
কমিশন সূত্রে খবর, আজ চূড়ান্ত হয়ে যাবে কী হতে চলেছে প্রথম দফা ভোটের সুরক্ষা ব্যবস্থা।
Be the first to comment